Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ফরিদপুরের সালথায় সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির বাড়িতে মৃত্যু

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২০, ২:৫৯ পিএম

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রাম দুই দলের সংঘর্ষে আহত পান্নু খন্দকার (৩৫) নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত আনুমাণিক ২টার দিকে তার বাড়িতে মারা যায়।
পান্নু উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড়খারদিয়া পশ্চিম ঠাকুরপাড়া গ্রামের রাঙ্গা খন্দকারের ছেলে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া-উজিরপুর গ্রামে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন মিয়ার সাথে একই গ্রামের ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হুমায়ন খা, স্থানীয় মাতুব্বার রফিক মোল্যা ও ইলিয়াছ কাজীর মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই সুত্রধরে বৃহস্পতিবার সকালে আলমগীর মিয়ার লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায় হুমায়ন খা ও রফিকুলের সমর্থকরা। এসময় আলমগীর মিয়ার লোকলজন হামলা ঠেকাতে গেলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা) সার্কেল এফ.এম মহিউদ্দিন ও সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সহ পুলিশ বাহীনি ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ১৭জন আহত হয়। এছাড়াও ২০টি বসতঘর ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে উজিরপুর গ্রামে আমার সমর্থকদের ১৪/১৫টি বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় হামলা ঠেকাতে গেলে আমার সমর্থক ইউপি সদস্য সিরাজ বিশ^াস, মানোয়ার হোসেন মিয়া, পান্নু খন্দকার, সাদি মোল্যা, রুবি বেগম, সিরাজ শেখ সহ ৯জন আহত হয়।
এরমধ্যে আমার সমর্থক পান্নু খন্দকার চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসার পর বুধবার রাতে মারা যায়। তার মাথা ও ঘাড়ে আঘাত ছিলো । এছাড়াও পান্নু খন্দকারের বসতঘর ভাংচুর করেছিলো প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় পান্নু খন্দকারকে পুলিশের সহযোগিতায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এনেছিলো।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, মৃত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ