মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের ৬ কোটি মানুষকে ‘চরম দারিদ্রের’ মুখে ঠেলে দেবে করোনা মহামারি। মঙ্গলবার এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। তাদের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, খাবারের আকাল আসতে চলেছে। ফলে না খেয়ে থাকবেন অন্তত ছয় কোটি মানুষ।
বিশ্ব ব্যাংক ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০টি দেশকে ঋণ দিয়েছে। অর্থ সাহায্য করেছে। এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে বলে দাবি করেছে তারা। ভয়াবহ দারিদ্র আসতে চলেছে বিশ্বে, সতর্ক করছে এই সংস্থা। গত তিন বছর ধরে ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতি গড়ে উঠেছে, তার ওপর যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস। যার জেরে খাদ্যসংকট আরও বাড়বে বলেই জানান বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস। ১৬০ বিলিয়ন অর্থ আগামী ১৫ মাসে তারা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোভিড-১৯ মহামারি ও লকডাউনের কারণে যে অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে, তা বিশ্বের ৬ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্রতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। এই অর্থ বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষের উপকারে লাগবে। এসব দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতকে মজবুতকরণ, দরিদ্রদের সহযোগিতা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের রক্ষণাবেক্ষণ ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এই অর্থ ছাড় দেয়া হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যারা দৈনিক ১ দশমিক ৯০ ডলারের (১৬১ টাকা) চেয়ে কম অর্থে জীবনযাপন করেন তারাই চরম দরিদ্র। করোনার কারণে ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক উৎপাদন পাঁচ শতাংশেরও বেশি সংকুচিত হবে, যা দারিদ্র্য দূরীকরণে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর গত তিন বছরে প্রচেষ্টাকে মুছে ফেলবে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব ব্যাংক।
ডেভিড মালপাস বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে লাখ লাখ জীবিকা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চাপের মধ্যে রয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের বিশ্লেষকরা একটি ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, যে স্থানে ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করছে সেগুলি মূলত দুটি কারণের উপর নির্ভর করে, অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে ভাইরাসটির প্রভাব এবং আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার নিকটে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা।
বিশ্বব্যাংক গত মাসে বলেছিল যে, তারা আশঙ্কা করেছিল যে সাব-সাহারান আফ্রিকার লোকেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিশ্বব্যাংকের ১০০ টি লক্ষ্যমাত্রার দেশগুলির মধ্যে বর্তমানে ৩৯ টি সেখানে রয়েছে এবং কমোনোভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এই অঞ্চলের কমপক্ষে ২ কোটি ৩০ লাখ বাসিন্দা চরম দারিদ্র্যের দিকে এগিয়ে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়াতেও ভোগার সম্ভাবনা রয়েছে। নাইজেরিয়া এবং গণ প্রজাতন্ত্রী কঙ্গো ছাড়াও বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ ভারতে অনুমানিক প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সূত্র: সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।