Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতীয় সেনায় ৩ বছরের মেয়াদে নাগরিকদের প্রশিক্ষণের প্রস্তাব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২০, ২:৩৭ পিএম

যুগান্তকারী এক প্রস্তাবের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। প্রয়োজনে ৩ বছরের মেয়াদে ভারতীয় সেনায় যোগ দিতে পারবেন দেশের উদ্যমী তরুণরা, তাদের এই সুযোগ দেয়া হোক, এমনই একটি প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানা গেছে।

ভারতের শীর্ষ সামরিক সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনী আধা মিলিটারি ফোর্স এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসাবে সাত বছরের কম সময়ের জন্য দেশের তরুণদের সেনায় সামিল করার বিষয়ে বিবেচনা করছে, মেয়াদ শেষের পরে তারা ফের তাদের সাধারণ নাগরিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন।

এই প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য হল, যে সমস্ত সাধারণ নাগরিক সেনায় কাজ করার রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চান তাদের একটা সুযোগ দেয়া। পাশাপাশি, সেনায় যোগ দেয়ার কারণে নাগরিক সমাজও আরও বেশি করে সুশিক্ষিত ও শৃঙ্খলাপরায়ণ ব্যক্তি পাবে। ‘একজন ২২/২৩ বছরের সাধারণ স্নাতকের তুলনায় মিলিটারি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ২৬/২৭ বছরের ব্যক্তিকে চাকরিতে নিয়োগ করতে পছন্দ করেন কর্পোরেটরা’, বলছে সমীক্ষাও।

সেনা সূত্রে খবর, ট্যুর অফ ডিউটি প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ১০০ জন অফিসার ও ১ হাজার জওয়ানকে নিযুক্ত করা হবে। সেই মডেল সফল হলে ভবিষ্যতে আরও পদে তিন বছরের জন্য নিযুক্ত করা হবে। তিন বছরের মেয়াদ শেষে পেনশন না দিলেও, কর্মকর্তা বা জওয়ানদের কিছু থোক টাকা দেয়া হবে। তবে, যুদ্ধে মৃত্যু হলে একজন সেনার মতো সমস্ত সুবিধাই পাবে মৃতের পরিবার।

যদিও এই নিয়োগের বিষয়ে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল আমান আনন্দকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই প্রস্তাব যদি অনুমোদন করা হয় তবে এই নিয়োগ পুরোপুরিই ঐচ্ছিক পর্যায়েই থাকবে। কিন্তু যাদের নিয়োগ করা হবে তাদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট মানদণ্ডে কোনও কমতি থাকবে না। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পে ১০০ জন সেনা কর্মকর্তা এবং এক হাজার পুরুষ জওয়ান পদে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে।’

বর্তমানে সেনাবাহিনীতে শর্ট সার্ভিস কমিশনের আওতায় তরুণদের প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ বছরের মেয়াদে নিয়োগ করে যা পরবর্তীতে বাড়িয়ে ১৪ বছর পর্যন্ত করা যায়। তিন বছরের ঐচ্ছিক ওই চাকরির ক্ষেত্রে আনুমানিক খরচ ধার্য হয়েছে ৮০-৮৫ লাখ টাকা। শর্ট সার্ভিস কমিশনের অফিসারদের ক্ষেত্রে এতে স্থায়ী চাকরির সুযোগ রয়েছে। এই চাকরির ফলে যুব সম্প্রদায়ের উদ্যম সদর্থক পথে কার্যকর হবে বলে মনে করে সেনা। তবে প্রস্তাব অনুমোদিত হলে গোটা বিষয়টিই পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে আগে দেখা হবে, তারপর এনিয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সূত্র: এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ