Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শরণখোলায় নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে আবারো ভাঙ্গন

উৎকণ্ঠায় এলাকাবাসি নদীশাসন দাবি

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ৮:৩৪ পিএম

শরণখোলা উপজেলার সাউথখালীর সিডরে বিধ্বস্ত নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে আবারো ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় বাঁধের গাবতলা অংশের আশার আলো মসজিদের সামনে থেকে প্রায় চারশ’ মিটার ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে এলাকাবাসির মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে তাৎক্ষকিভাবে ওই রাতে বাঁধে মাটি ফেলে কিছুটা সামাল দিয়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে এলাকাবাসি নদীশাসন করে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। তিনি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে এলাকাবাসিকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়া প্রতিমন্ত্রী এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসবেন বলে তিনি জানান।
সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, ঘুর্ণিঝড় সিডরে এ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গেই সাউথখালীতে সহস্্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এরপর এলাকাবাসির দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৬ সাল থেকে চারশ’ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে টেকসই বাঁধ নির্মাণে কাজ শুরু হয়। কিন্তু কাজের মেয়াদ দু’বার শেষ হলেও উপকূল রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের (সিইআরপি) কর্মকর্তারা বগী থেকে গাবতলা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নির্মাণ না করে কম গুরুত্বপূর্ণ এলাকার কাজ আগে করেন। ফলে প্রতিবছর ওই এলাকা ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলিন হতে থাকে। এভাবে এলাকাবাসির ঘর-বাড়ি, গাছ-পালাসহ শতশত একর জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। যা এখনো অব্যাহত আছে। সংশ্লিষ্টরা কোনমতে রিং বাঁধ দিয়ে ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ ওই অংশে এখন নদীশাসন না করে বাঁধ নির্মাণ করা হলে তা আবারো ভেঙ্গে যাবে।
এ ব্যপারে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ওই জায়গায় ৩১ শ’ মিটার বøক ডাম্পিং করে নদী শাসনের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এটি এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আশাকরি অচিরেই কাজ শুরু করা যাবে।
সিইআরপি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালে কাজ শুরু করা হলে ২০১৮ সালে বগী থেকে গাবতলা এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়। যার কারনে বাঁধ নির্মাণ সম্ভব হয়নি। তবে নতুন করে জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অধিগ্রহণ শেষ হলে বাঁেধর কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, রাতে বাঁধ ভাঙ্গার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এরপর ওই রাতেই বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন করি। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সারা রাত মাটি ফেলে কিছুটা ঝুঁকিমুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আরেকটি রিং বাঁধ দেয়ার কাজ শুরু করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাধ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ