মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাংলাদেশি ক্যান্সার রোগীরা ভারতে আটকে পড়ে বেকায়দায় আছেন।যারা ফিরে আসতে চাইছেন, তাদের সাহায্য করবে বাংলাদেশ সরকার।ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশের বেশ কিছু ক্যান্সার রোগী দেশে ফিরতে চায় না। কারণ, তারা আশঙ্কা করছে যে, দেশে ফিরলে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারবে না তারা। আবার কেউ কেউ ফিরতে চাইছেনও।-সাউথ এশিয়ান মনিটর, জিনিউজ
ভারত সরকার ২৫ মার্চ থেকে ভারত জুড়ে লকডাউন জারি করেছে। ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশী কূটনীতিকরা অবশ্য বলছেন যে, আটকে পড়া বাকি বাংলাদেশীদের উদ্ধারের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছেন তারা।
কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে সাউথ এশিয়ান মনিটরকে বলেন, যে সব বাংলাদেশী ভারতে আটকা পড়েছে এবং দেশে ফিরে যেতে চান, তাদের ফিরিয়ে নিতে ঢাকার পররাষ্ট্র দফতর এবং ভারতে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন অব্যাহতভাবে।
সাবেক এক সরকারি কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এখন দেশের মাটিতে মরতে চান। বেঁচে থাকার দিনগুলোতে মেয়ে-ছেলে আর নাতি-নাতনির মুখ দেখতে চান। কিন্তু বিধি বাম। করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে আটকা পড়েছেন তারা। শুধু ব্যাঙ্গালুরু নয়, এখন বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রোগী যায় ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে। প্রতি বছর প্রায় ১২ লাখেরও বেশি মানুষ সেখানে গেলেও অধিকাংশই সিএমসি হাসপাতালে যান। এছাড়া চেন্নাই, মুম্বাইও যান। এসব জায়গায় এখন হাজার হাজার বাংলাদেশি রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন আটকে পড়েছেন।
রোগী ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের দেশে ফেরার সময় অনেক আগেই শেষ হয়েছে। কিন্তু আটকে পড়ে আছেন সেখানে। তাদের টাকা-পয়সাও শেষ। ভারত লকডাউন হওয়ায় দেশ থেকে টাকাও নিতে পারছেন না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না।
দিল্লীর বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা থেকে ১০ মে, মুম্বাই থেকে ১২ মে, বেঙ্গালুরু-ঢাকা রুটে ১৩ মে, এবং দিল্লী-ঢাকা রুটে ১৪ মে প্রত্যাবাসন ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।বাংলাদেশের এক কূটনীতিক টেলিফোনে জানান, পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে কলকাতা-ঢাকা বিশেষ বাস সার্ভিস পরিচালনার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথাবার্তা চলছে।
কলকাতার উপকণ্ঠে ঠাকুপুকুরে সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যাণ্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের কাছে একটি দাতব্য গেস্ট হাউজে বাস করছেন প্রায়১৭০জন ক্যান্সার রোগী।এছাড়া ভেলোরে রয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি ক্যান্সার রোগী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।