ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দলের সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ ১৭ জন আহত হয়েছে। এসময় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে সংঘর্ষকারীরা।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া-উজিরপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন মিয়ার সাথে একই গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থিত রফিকুল মোল্যার মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই সূত্র ধরে গতকাল সকালে আলমগীর মিয়ার লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায় রফিকুলের সমর্থকরা। এসময় আলমগীর মিয়ার লোকলজন হামলা ঠেকাতে গেলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ১৭ জন আহত হয়। এছাড়াও ২০টি বসতঘর ভাঙচুর করে সংঘর্ষকারীরা। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও (নগরকান্দা-সালথা) সার্কেল এফ.এম মহিউদ্দীন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এলাকা শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন আছে।