পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির রাজনীতি মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত, তারা জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। ঢাকা শহরে ত্রাণের নামে ফটোসেশন আর সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করাই তাদের কাজ। তাদেরকে সেই পথ পরিহার করে সারাদেশে তৃণমুল পর্যায় পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণে নিয়োজিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তথমন্ত্রী এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, উনি এই কথাগুলো সজ্ঞানে না অজ্ঞানে বলেছেন তা স্পষ্ট নয়। উনার নিশ্চয়ই জানার কথা, সরকারি দলের বাধা, প্রশাসনের বাধা ও মামলা-গ্রেফতারের মধ্যেও দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীন মানুষকে সাহায্য সহায়তা করছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। কিন্তু বিএনপি কৃষকের ধানক্ষেতকে বিনোদনের জায়গা বানায়নি। ফটোসেশন করতে গিয়ে আওয়ামী নেতারা পাকা ধানের বদলে কাচা ধান কেটে জাতির কাছে যে তামাশার পাত্র হয়েছে সেটি বেমালুম ভুলে যান তথ্যমন্ত্রী। ধানক্ষেতে যত না আওয়ামী নেতার উপস্থিতি তার চেয়ে ক্যামেরার সংখ্যাই বেশী। বিএনপি তো আর সরকারি ত্রাণের লুটপাটের উৎসবের সাথে জড়িত নয়, তাই তথ্যমন্ত্রীর বিএনপি’র ত্রাণ কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। গতকাল রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
সারাদেশ এখন আতঙ্কের এক মৃত্যুপুরী মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, পাঁচ কোটি দরিদ্রের সঙ্গে আরও আড়াই থেকে তিন কোটি মানুষ যোগ হতে পারে, তছনছ অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, থমকে গেছে সরকারের তারস্বরে উন্নয়নের আওয়াজ। সাথে ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে কোথাও চিকিৎসা পাচ্ছেন না রোগীরা। কিন্তু সরকারের গলাবাজী থেমে নেই। গলাবাজী করে জনগণের ওপর আর ছড়ি ঘোরানো যাবে না।
তিনি বলেন,এই দুঃসময়েও ক্ষমতাসীনদের মধ্যে সহমর্মিতা, মানবিকতা ও সংবেদনা লুপ্ত হয়ে তার বদলে সর্বস্তরে ক্ষমতার দম্ভ, লোভ, ত্রাণ ও চিকিৎসা খাতে চুরি-লুটপাট এবং অসহায় মানুষকে অবজ্ঞার স্বভাব আরো তীব্রতা পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের পাশাপাশি সরকারি কোন কোন অসৎ কর্মকর্তাদের চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় ও চাল কেলেংকারীতে জড়িত হওয়ার খবর দু:খজনক।
ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের কারণে প্রকৃত অসহায়, দুঃস্থরা বঞ্চিত হচ্ছেন অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তার জন্য অনেকে ছুটে বেড়ালেও পাচ্ছেন না। ফলে অসংখ্য কর্মহীন দরিদ্র মানুষ নিত্যদিন উপোস থাকছে। প্রায় ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। সরকারের পূর্ব প্রস্তুতির অভাবে চিকিৎসা উপকরণ, রোগ-নির্ণয়, চিকিৎসা ব্যবস্থা কিছুই নেই। দীর্ঘ সময় পেলেও অপরিণামদর্শী আহম্মকির কারণে বাংলাদেশে করোনার আঘাত এখন ভয়ঙ্কর রুপ নিয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গভীর উদ্বেগ নিয়ে বলছেন, চলতি মে মাসটা দেশের জন্য এলার্মিং। বলা হচ্ছে-এ মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হতে পারে। এই মাসটা সাবধানে না থাকলে করোনার মহামারী দেশকে বিপর্যস্ত করে দেবে। অথচ সরকার এ নিয়ে এখনো নির্বিকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।