মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন উড়িয়ে ২০ দিন পর জনসম্মুখে আসলেন উত্তর কোরিয়ার সব্বোর্চ নেতা কিম জং উন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ এমন তথ্য জানিয়েছে। শুক্রবার পিয়ংইয়ংয়ের কাছে একটি সার কারখানার নির্মাণ সমাপ্তি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
কেসিএনএ এর খবরে বলা হয়, শুক্রবার কিম নিজে ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় হাজারো মানুষ তাকে অভিনন্দন জানান। কিমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এবং তার বোন কিম ইয়ো জং। কেসিএনএ-র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, খুব আবেগের সঙ্গে কিম বলেছেন, তার পিতামহ কিম ইল সাং এবং বাবা দ্বিতীয় কিম জং যদি বেঁচে থাকতেন তা হলে এই সার কারখানা তৈরির খবরটা পেয়ে খুব খুশি হতেন। উত্তর কোরিয়ার আরও এক সরকারি সংবাদপত্র রডং সিনমান কিমের বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছে। সেখানে কিমকে কালো টুপি পরে কারখানার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সবশেষ তিন সপ্তাহ আগে ওয়ার্কার্স পার্টির একটি বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন উন। তারপর থেকে তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। তাকে নিয়ে জল্পনার সূত্রপাত গত ১৫ এপ্রিল। ওই দিন তার দাদার জন্মবার্ষিকী ছিল। এই দিনটা গোটা উত্তর কোরিয়ার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। কিন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে কিমের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। নানা প্রশ্ন ঘুরতে থাকে, তা হলে কি কিম গুরুতর অসুস্থ। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ওয়েব পোর্টাল জানিয়েছিল, হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের পর সঙ্কটজনক অবস্থায় একটি রিসর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সেখানে পরিবার-পরিজন রয়েছেন তার সঙ্গে। একটি চিকিৎসক দলের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তবে সেই সময় পিয়ংইয়ংয়ের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এর পরই কিমকে নিয়ে গুজব ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলা হয়, ৩৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক। এ নিয়ে তখনও উত্তর কোরিয়ার তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে তবে গত সপ্তাহে এসব তথ্য উড়িয়ে দেয় দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে উত্তর কোরিয়ার নেতা সুস্থ আছেন। অবশেষে উনের জনসমুখে হাজির হওয়া সেই তথ্যকেই সঠিক প্রমাণ করলো। সূত্র : দ্য সান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।