নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একটি দাতব্য সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করতে পালাজ্জো ক্যাসিনোর মালিক নেলসন বেলত্তির আমন্ত্রণে প্যারাগুয়ে গিয়েছিলেন ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার রোনালদিনহো ও তার ভাই রবোর্তো আসিস। আর সেখানে গিয়েই পড়েন মহাঝামেলায়। কারণ যে কাগজপত্র নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন তার সবই ছিল ভুয়া। জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্রথমে খাটতে হলো কারাবাস, এখন আছেন গৃহব›িদ্ব। এমন তেতো অভিজ্ঞতার পর ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী তারকা জানালেন, জীবনে এমন পরিস্থিতিতে পড়বেন, কখনও ভাবেননি তিনি।
গত ৬ মার্চ বার্সেলোনা, পিএসজি ও এসি মিলানের সাবেক মিডফিল্ডার তার ভাইসহ গ্রেফতার হন। ৩২ দিন জেলে থাকার পর ১৬ লাখ ডলার জমা দিয়ে জামিন পান বিচারিক কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্যারাগুয়েতেই গৃহবন্দি থাকার শর্তে। এই ঘটনার পর গতপরশুই এবিসি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক তুলে ধরেন বাজে অভিজ্ঞতার কথা, ‘আমি কখনই ভাবিনি যে এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। খুব বড় ধাক্কা। আমাদের কাছে যে ডকুমেন্টগুলো ছিল, তা আসল নয় জেনে অবাক হয়েছিলাম। তখন থেকে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, বিষয়গুলো পরিষ্কার করতে বিচার ব্যবস্থাকে সহায়তা করা।’
কিন্তু মুক্তি মিলেও যেন মিলেনি। কারণ তারপর থেকে হোটেলে গৃহবন্দি ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে পড়বেন এমনটা স্বপ্নেও ভাবেননি এ ব্রাজিলিয়ান, ‘সেই মুহ‚র্ত থেকে আজ অবধি আমরা সমস্ত কিছু ব্যাখ্যা করেছি এবং সমস্ত কিছুই সহজ করে দিয়েছি যা আমাদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল। এটি আমার জন্য কঠোর একটি আঘাত ছিল। আমি কখনই ভাবিনি যে আমি এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাব। সারা জীবন আমি চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ পেশাগত স্তরে পৌঁছতে এবং আমার ফুটবল দিয়ে মানুষকে আনন্দ দিতে।’
কারাগারে অবশ্য বেশ আমুদে সময়ই কাটিয়েছেন রোনালদিনহো। খেলেছেন ফুটবলও। এতো ঝামেলার পরও তাই সে দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি দেশটিতে পৌঁছানোর প্রথম দিন থেকে আজ অবধি সমস্ত প্যারাগুইয়ানদের ভালবাসা, স্নেহ ও শ্রদ্ধা পেয়েছি এবং আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। (মামলায় প‚র্ণ মুক্তি মেলার ব্যাপারে) আমার বিশ্বাস আছে। আমি সবসময় সবকিছু যেন ভালো যায় এমন প্রার্থনা করি এবং আশা করি এটি খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে।’
আর মুক্তি পেলে দেশে গিয়ে কি করবেন তাও জানালেন রোনালদিনহো, ‘প্রথমেই আমার মাকে বড় একটি চুমু দিব। তিনি নিজের বাড়িতে কোভিড -১৯ মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে কঠিন সময় কাটাচ্ছেন। তারপরে এই পরিস্থিতিতে কীভাবে বিশ্বাস এবং শক্তি নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।