বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জাটকা আহরন নিষিদ্ধ সময়ে প্রান্তিক জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভার জেলেদের নতুন তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফ্রেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে মানবিক সহায়তা পায়নি এমন জেলেদের অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকা তৈরী করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে দাখিল করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও মেয়র গনকে ইউএনও কার্যালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। তালিকা সম্পন্ন হলে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এ চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র।
জানা যায়, জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা প্রকৃত জেলেদের মধ্যে এপ্রিল-মে দুই মাসের চাল বিতরণ নিশ্চিত করতে প্রশাসন এবার ভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। প্রতিটি ইউনিয়নে তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চাল বিতরন সম্পন্ন করতে হবে। বিতরন শেষে তদারকি কর্মকর্তা ইউএনও বরাবর রিপোর্ট পেশ করবে। এছাড়া বিগত ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে ৮০ কেজি করে চাল পেয়েছেন নয় হাজার ১৪৩ পরিবার, তাদের বাদ দিয়ে বাকী কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে আগে এচাল বিতরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কেননা ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসের চাল বিতরন নিয়ে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ ওঠে চম্পাপুর, ধূলাসার ও কুয়াকাটা পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দুই তদারকি কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়।
এদিকে কলাপাড়ায় জেলে কার্ডধারীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৩০৫ জন। তবে তালিকায় এমন অনেক নাম রয়েছে যারা প্রকৃত জেলে নয়। কলাপাড়ার ১২টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার এ তালিকায় প্রায় আড়াই হাজার কার্ড রয়েছে যারা প্রকৃত জেলে নয়। কোনদিন মাছ ধরে নাই, এমন ব্যক্তিও রয়েছে এ তালিকায়। এমনকি ভাড়াটে হোন্ডা চালকদের নামও তালিকাভুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সভায় এ নিয়ে আলোচনা হলেও দৃশ্যপট বদল হয়নি। তাই জনপ্রতিনিধিদের তৈরী জেলেদের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের দাবি করেছেন প্রকৃত জেলেরা।
প্রকৃত জেলেরা জানান, জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা জেলেদের চাল চলে যাচ্ছে কার্ডধারী ভুয়া লোকদের ঘরে। এতে বঞ্চিত থাকছে প্রকৃত জেলেরা। এছাড়া জনপ্রতিনিধিরা ভোটের রাজনীতি সহ ব্যক্তি স্বার্থে নামের তালিকা তৈরীতে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। ওজনে কম দিয়ে চুরি করা তো নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা জানান, ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে যারা চাল পেয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে কার্ডধারী অন্য জেলেদের নিয়ে, যারা প্রকৃত দুস্থ এবং মানবিক সহায়তা পায়নি, তালিকা তৈরী করে ভিজিএফ চাল বিতরন করা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ জানান, জনপ্রতিনিধিদের তৈরী তালিকা এখনও তার কাছে জমা দেয়া হয়নি। তালিকা পেলে ইউএনও কার্যালয়ের তদারকিতে জেলেদের মাঝে বিজিএফ’র চাল বিতরন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।