বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকারের খাদ্য বিভাগের বস্তা সরবরাহের জন্য এক মাস পর খুলনাঞ্চলের ৮টি জুটমিল আংশিক ভাবে চালু হয়েছে। এদিকে ১৪ সপ্তাহের মজুরী না পাওয়ার হতাশা কাটাতে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরীর জন্য ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রনালয়।
করোনা আতঙ্ক আর ১৪ সপ্তাহের মজুরী না পাওয়া হতাশার নিয়ে রবিবার সকাল ৬টায় এক মাস পর কাজে যোগ দিয়েছে খুলনার ৮ রাস্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলের শ্রমিকরা।
পাটকল শ্রমিকদের হতাশার কোন কারন নেই বলে জানালেন বিজেএমসির চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রউফ।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে শ্রমিদের মজুরী দেয়ার জন্য ১২৫ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দের চিঠি পেয়েছি। চেষ্টা করছি অল্প সময়ের মধ্যে সে অর্থ ছাড় করিয়ে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী যত দ্রুত সম্ভব প্রদান করা হবে। খাদ্য বিভাগের অর্ডারের পন্য দ্রুত দিতে হবে বিধায় স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্য বিধিমেনে পাটকল চালাতে প্রকল্প প্রধান দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থির কারনে মিল গুলো বন্ধ না হলে এতদিনে অর্ডারের পন্য সরবরাহ সম্পন্ন হয়ে যেত বলে জানান তিনি।
এদিকে খুলনার ৯ রাস্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলের মধ্যে কার্পেটিং মিল ছাড়া ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, স্টার, দৌলতপুর, আলীম, ইস্টার্ন ও জেজেআই জুট মিলে ভোর ৬ টার আগেই শ্রমিকরা মিল গেটে প্রবেশ করেছে। অধিকাংশ শ্রমিকরা মাস্ক পরে মিলে প্রবেশ করেছে। মিল চালু হয়েছে জেনে তারা সবাই মিলে উপস্থিত হয়। কিন্তু মিলের ফিনিশিং বিভাগটাই বেশী কাজ চলেছে। তাঁত, স্পিনিং, ব্রেকার, স্বপনার, সহ অন্যান্য বিভাগে আংশিক ভাবে চলেছে। ফলে অনেক শ্রমিককে কাজ না থাকায় চলে যেতে হয়েছে বলে জানান প্লাটিনাম জুটমিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন।
অপরদিকে করোনার প্রভাবে খুলনা ও যশোরের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ পাটকলের ৩০ হাজার শ্রমিক পরিবারে খাদ্য সংকটে চরম হতাশায় দিনযাপন করছেন। গত ১৪ সপ্তাহ কোন মজুরী না পেয়ে চরম মানবেতর ভাবে দিনাতি পাত করছে বলে জানান ক্রিসেন্ট জুটমিল এর সাবেক সভাপতি মোঃ মুরাদ হোসেন।
ক্রিসেন্ট সিবিএর বর্তমান সভাপতি দ্বিন ইসলাম জানান, শ্রমিকদের মজুরী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দেয়ার কথা জানিয়েছিল কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিনের মজুরী বকেয়া থাকায় শ্রমিকরা অনেক হতাশ। তাদের মজুরী অবিলন্বে পরিশোধ করার জোর দাবী জানিয়েছেন।
খালিশপুর জুটমিল চালু হবে কিনা এনিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে কিছুটা সংশয় থাকলেও মিল যথারিথী উৎপাদন চলেছে বলে জানান মিলের প্রকল্প প্রধান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। খুলনার বাহির থেকে আসা শ্রমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কারনে শিল্পাঞ্চল খালিশপুরে করোনা বিস্তারের সম্ভাবনার আশংকা প্রকাশ করেছেন সাধারন শ্রমিকরা। বিশেষ করে ঢাকা নারায়নগঞ্জ, শরিয়তপুর থেকে আসা কাউকে কাজ করতে দিলে করোনা বিস্তারের ভয় থেকেই যাচ্ছে। এসব অঞ্চল থেকে আসা লোকদের হোম কোয়ারান্টিনে রাখার দাবী সাধারন শ্রমিকদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।