খুলনা জেলার প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের প্রায় সাড়ে তিন’শ শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে মৃত্যুজনিত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত, দুর্ঘটনায় আহত এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা হিসেবে এক কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা মহানগরীর রুপসা এলাকায় বিভাগীয় শ্রম দফতর চত্বরে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী শ্রমিকদের এই সহায়তার চেক তুলে দেন।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাটকল বন্ধ হয়েছে বলা যায় না, উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের পাওনাদি কড়ায়-গণ্ডায় মিটিয়ে দিয়েছেন। পাট-শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের সুখবর দিয়ে বলেন, খুলনার ৫টি পাটকল চালুর জন্য ইতোমধ্যে দরপত্র জমা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। শীঘ্রই পাটকলগুলো আবার চালু হবে বলে তিনি আশা করেন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কর্মকে ফাঁকি দিও না, জীবন তোমাকে ফাঁকি দিবে। কর্ম করে জীবনমানের উন্নয়ন করতে হবে। অসুস্থ, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকগণ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে আবেদন করলে দ্রুত সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হবে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ঠের অপচেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সজাগ থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানকে ‘শ্রমিকের মা’ উপাধি দেন। তিনি বলেন, শ্রম অধিদফতরের চোখে কোটি শ্রমিক স্বপ্ন দেখে। তেজগাঁওয়ে শ্রমিকদের হাসপাতাল এবং মতিঝিলে লেবার টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। আগামীতে শ্রমিক কল্যাণ স্কুল কলেজ করার স্বপ্ন দেখছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার এর সভাপতিত্বে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমান, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া, খুলনা জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের এম জাফর এবং মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার ঘোষ বক্তৃতা দেন। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।