পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মসলিন কাপড়ের মতোই এক সময় বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ছিল বাংলাদেশের পাটের। সারা পৃথিবীতে যে পরিমাণ পাট উৎপাদন হতো তার এক তৃতীয়াংশ হতো বাংলাদেশে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাটকল ‘আদমজী জুট মিল’ ছিল বাংলাদেশে। পাটকে বলা হতো ‘সোনালী আঁশ’। বর্তমানের তৈরি পোশাক রফতানি আর প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মতোই কাঁচা পাট ও পাটপণ্য বিক্রি করে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতো। অথচ নেতৃত্বে ব্যর্থতা, দুর্নীতি, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের উপর অধিক নির্ভরশীলতায় বন্ধ হয়ে গেছে আদমজী পাটকল।
এ ছাড়াও আরো ২৬টি পাটকল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ এবারও দেশে পাটে বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকার কিছু পাট ক্রয় করছে। কিন্তু পাটকলগুলো বন্ধ থাকায় লাখো শ্রমিক ঘরে বসে রয়েছে। কাঁচা পাট বিক্রি নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে। পাট নিয়ে কৃষকদের সেই অনিশ্চয়তা দূর করার বার্তা দিয়েছেন ঢাকায় কর্মরত সউদী আরবের রাষ্ট্রদূত ইসসা ইউসেফ ইসসা আল দুহাআলান। তিনি গতকাল সবিচালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)’র বন্ধ মিলগুলো চালু করে পাটপণ্য উৎপাদনে সউদী আরবের বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সউদী আরবের রাষ্ট্রদূত বলেন, সউদী আরব আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। সেজন্য সউদী আরব বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাটখাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের স¤প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটাতে আগ্রহী। এসময় মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বাংলাদেশও আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে সউদী আরব বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ। সউদী আরব বস্ত্র ও পাটখাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের স¤প্রসারণে আরো অধিক পরিমাণে বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশে বিশ্বের সেরা মানের পাট উৎপাদিত হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ পাট থেকে এখন উচ্চমানের ও আকর্ষণীয় বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। পাটপণ্য সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব। সউদী আরবে স¤প্রতি পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়াতে সে দেশে বহুমুখী পাটপণ্যের চাহিদা বহুগুণে বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহুমুখী পাটপণ্য রফতানি দেশের তালিকায় অন্যতম অবস্থানে রয়েছে সউদী আরব। এর আগে চীন বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের পাশাপাশি বাংলাদেশের বন্ধ পাটকলে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ভারতমুখি মানসিকতার কিছু আমলার অনিহার কারণে বন্ধ পাটকল চালুর বিনিয়োগে চীনের প্রস্তাব এগোয়নি।
জানতে চাইলে সিপিবির সাবেক সভাপতি ও স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বন্ধ পাটকল চালুর জন্য আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। পাটশিল্প যেহেতু সম্ভাবনাময়, তাই তাড়াতাড়ি সংস্কার করে চালুর প্রস্তাব দিয়েছি। তবে করোনার কারণে সে আলোচনা এগোয়নি। সউদী আরব আসলে কীভাবে পাটকলে বিনিয়োগ করতে চায় তা পরিষ্কার নয়। তবে চীন যে প্রস্তাব দিয়েছিল আমাদের জন্য তা খারাপ ছিল না। চীন প্রস্তাব দিয়েছিল তারা পুরনো মেশিন সংস্কার করবে। আধুনিক মেশিন বসিয়ে উৎপাদন বাড়াবে। আর সরকারকে সেই খরচ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রস্তাবটি ভালোই ছিল।
পাটের ফলন ভালো হওয়ায় উপনিবেশিক শাসনামল এবং ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর বাংলাদেশে অসংখ্য পাটকল গড়ে উঠে। ১৯৫০ সালে আদমজী পাটকল প্রতিষ্ঠা করা হয়। সে সময় পৃথিবীর পাট উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি এবং উন্নতমানের পাট উৎপাদন হতো। কৃষকরা পাট উৎপাদন করে প্রচুর অর্থ পেতেন এবং সে পাট মিল-কারখানায় নানাজাতের পাটপণ্য তৈরি করে বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আসতো। বিগত শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে পাটকে সোনালী আঁশ বলা হতো। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের খপ্পরে পড়ে দেশের একের পর এক পাটকল বন্ধ করে দেয়া হয়। মূলত ১৯৯০ সালের পর বিশ্বব্যাংকের পাট খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ১১টি পাটকল বন্ধ, বিক্রি ও একীভ‚ত করা হয়। ২০০২ সালের জুনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাটকল নারায়ণগঞ্জের ‘আদমজী জুটমিল’ বন্ধ করে দেয়া হয়। অথচ ওই সময় বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দুইটি নতুন পাটকল স্থাপন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ২০২০ সালে লোকসানের অজুহাতে সরকার বিজেএমসি’র অধীন ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গোল্ডেন হ্যান্ডসেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের কিছু বেতন-ভাতা পরিশোধ করে ওই বছরের ১ জুলাই থেকে পাটকল বন্ধ কার্যকর করা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ক্রমাগত লোকসান দিচ্ছে দাবি করে বলা হয়, বিজেএমসি’র ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পেশাদারী দক্ষতার অভাব, সময়মতো কাঁচা পাট কিনতে না পারা এবং পাট ক্রয়ে দুর্নীতি, সংস্কারবিহীন পুরনো যন্ত্রপাতি, পাটপণ্যে বৈচিত্র্যের অভাব, স্থায়ী শ্রমিকের আধিক্য এবং সিবিএ’র দৌরাত্ম্য প্রভৃতি কারণে পাটকলগুলো লোকসান দেয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬ পাটকল বন্ধ করে দেয়ার আগে সরকার থেকে প্রচার করা হয়, লোকসানি এসব পাটকল সাময়িক বন্ধ থাকবে। এসব পাটকল পিপিপি’র মাধ্যমে চালু হবে। আবার কখনো বলা হয় পাটকলগুলো ভাড়াভিত্তিক লিজে চালু করা হবে। পরবর্তীতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে মিলগুলোয় থাকা কাঁচামাল, তৈরি পণ্য, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সম্পত্তির মজুদ দ্রæত নির্ধারণসহ আরও কিছু সুপারিশ করা হয়।
মূলত সরকারের দ্বিমুখি নীতি বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ হওয়ার জন্য অনেকটা দায়ী। গত কয়েক বছরে সরকারের বক্তব্য ও চিন্তাভাবনা থেকে এর প্রমাণ মেলে। অথচ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘পাট শিল্পের গৌরব পুনরুদ্ধার’ দাবি করে বলেছিলেন, বিজেএমসিকে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে মিলগুলোর সুষমকরণ, আধুনিকায়ন, প্রতিস্থাপন ও বিস্তার (বিএমআরই) করার জন্য চীন সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর করা হয়েছে এবং রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। পাটশিল্পে নব নব পণ্য উৎপাদনে বিশেষ মনোযোগ অত্যন্ত জরুরি। পরের বছর ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় সে সময়ের অর্থমন্ত্রী বলেন, পাট খাতের উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রফতানির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এরপর বিজেএমসিকে স্বাবলম্বী করে তোলা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর বিএমআরই করা প্রসঙ্গে তার বক্তব্যে ভিন্ন সুর লক্ষ করা যায়। ২০১৮ সালের মার্চে এক বক্তব্যে তিনি পাটশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে বিজিএমসিকে বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ দেন। গত ২৫ জুন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর পাটমন্ত্রী বলেন, ‘পিপিপি’র মাধ্যমে জুট মিল থাকবে। এটি ডিসাইডেড’।
সূত্র জানায়, সরকার প্রাথমিকভাবে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো পুনরায় চালুর জন্য ৪টি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করে। প্রথমত, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি), দ্বিতীয়ত যৌথ উদ্যোগ, তৃতীয়ত সরকার টু সরকার (জিটুজি) এবং সর্বশেষ পরিকল্পনা ছিল ইজারা বা লিজ দেওয়া। বিশ্লেষণ শেষে লিজ দেওয়াটাকেই উপযুক্ত মনে করেছে সরকার। এ ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত দেওয়া হয়। ইজারা দেওয়া কারখানাগুলো বাংলাদেশ জুটমিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) ব্যবস্থাপনায় থাকবে। লাভ-লোকসানে কোনো অংশীদারিত্ব থাকবে না। ইজারা দেওয়ার পর সরকারের দেওয়া শর্ত পালন করছে কিনা তা তদারকি করবে বিজেএমসি। অগ্রাধিকার হিসেবে কর্মচ্যুত শ্রমিকদের নিয়োগ দিতে বাধ্য থাকবে লিজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান। এ জন্য কঠোর নজরদারি করা হবে বলেও জানিয়েছে পাট মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধের ১১ মাস পর ২৬ পাটকলের মধ্যে ১৭টি ইজারার মাধ্যমে চালু করার উদ্যোগ নেয় বিজেএমসি। গত এপ্রিল মাসে বিজেএমসি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৫ জুনের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়। প্রথম দফায় আন্তর্জাতিক দরপত্রে যে ১৭টি পাটকল ইজারা দিতে চায় সেগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম অঞ্চলের হাফিজ জুট মিলস, গুল আহমেদ জুট মিলস, কেএফডি জুট মিলস, এমএম জুট মিলস, আরআর জুট মিলস; ঢাকা অঞ্চলের ইউএমসি জুট মিলস, বাংলাদেশ জুট মিলস, রাজশাহী জুট মিলস, জাতীয় জুট মিলস এবং খুলনা অঞ্চলের প্লাটিনাম জুবেলি জুট মিলস, ক্রিসেন্ট জুট মিলস, ইস্টার্ন জুট মিলস, খালিশপুর জুট মিলস, দৌলতপুর জুট মিলস, স্টার জুট মিলস, যশোর জুট মিলস ও কার্পেটিং জুট মিলস।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের শ্রমিকদের বেকারত্ব নিরসনে পাটকলে বিনিয়োগে সরকারের আমন্ত্রণে আগ্রহ দেখিয়েছে চীন। প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামের আমিন জুটমিল, ঢাকার করিম জুটমিল ও খুলনার প্লাটিনাম জুটমিল আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিতে চায় তারা। আগামী ২ বছরের মধ্যে এই তিনটি পাটকল আধুনিকায়ন করার প্রস্তাব দেয়া হয়। এ লক্ষ্যে চীন সরকারের মালিকানাধীন চায়না টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন ফর ফরেন ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশনের সঙ্গে চুক্তি করে বিজেএমসি। দেশটির একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসে মিল দুটো পরিদর্শন করে গেছেন। তারা জানিয়েছেন, পাটকলের পুরনো যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে নতুনভাবে উৎপাদন শুরু করা গেলে পাটকলগুলো লাভজনক হয়ে উঠবে।
জানতে চাইলে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ বলেন, পাট আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। এসে সউদী আরব বিনিয়োগ করতে চাইলে সেটাকে স্বাগত জানানো উচিত। তবে সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। এর আগে চীন পাটকলে বিনিয়োগে প্রস্তাব দিয়েছিল। ভারতের কারণে সে বিনিয়োগ হয়নি। এখানে দুটি বিষয় রয়েছে। সউদীর সঙ্গে আমাদের ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। তারা ইসরাইলের দোস্ত হয়ে গেছে। সে কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক করে সউদী আরব অন্যমুখি হয়েছে। সউদী বিনিয়োগে স্বাগত। তবে এর পিছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে কি না দেখতে হবে। কারণ চীন এসেছিল। যে ভাবেই হোক ভারত প্রভাব খাটায় তাদের ফিরে যেতে হয়েছে। আবার ভারতের পাটকলগুলো আমাদের পাটের উপর নির্ভরশীল। সে জন্য তারা বাংলাদেশের পাট সেক্টরে কলকাঠি নাড়ে কিনা বা সউদী বিনিয়োগ দূরভিসন্ধিমূলক কিনা দেখতে হবে। শিল্প কারখানায় সউদী আরবের এমনো কোনো সাফল্য নেই যা উদাহরণ হতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশের একটি ব্যাংকে তাদের বিনিয়োগ ছিল; সেখান থেকে তারা যেভাবে আত্মসমর্পণ করে হাত গুটিয়ে নিয়েছে তা রহস্যজনক।
সমাজতান্ত্রিক ¤্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, পাটকলগুলো চালুর জন্য সরকারকে আমরা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সেটা গ্রহণ করেনি। প্রস্তাব গ্রহণ করে তারা বিদেশিদের বিনিয়োগের সুবিধা নিতে পারতো। তবে সউদী আরব পাটকল সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেখতে হবে তারা পাটকলে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কাজ করতে চায় না মিলকারখানার জমি নিতে চায়। সরকারের সঙ্গে সরকার কাজ করতে চায় কিনা। লাভজনক করতে চাইলে সবার আগে মিলকারখানাগুলোকে আধুনিকায়ণ করতে হবে। সউদী প্রস্তাব উৎসাহের সঙ্গে দেখার চেয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সউদী প্রস্তাব অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে পারি। তবে চীন যে প্রস্তাব দিয়েছিল তাদের সঙ্গে চুক্তি হলে এ সংক্রান্ত অনেক পণ্য কম আমদানী করতে হতো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।