মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, সূর্যের আলো ও উচ্চ তাপমাত্রায় কয়েক মিনিটেই মারা যেতে পারে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের উপদেষ্টা উইলিয়াম ব্রিয়ান হোয়াইট হাউস থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন গবেষণা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছেন।
গবেষণায় বলা হয়েছে যে, সূর্যের অতি বেগুণী রশ্মির বিকিরণ করোনাভাইরাসের জেনেটিক উপাদানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এতে এর বিস্তার বাধাপ্রাপ্ত হয়।
উইলিয়াম ব্রিয়ান বলেন, উচ্চ তাপমাত্রা ও আদ্রতা বৃদ্ধি করোনাভাইরাসের জন্য ক্ষতিকারক। একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, গ্রীষ্মে হয়তো এই ভাইরাসের বিস্তার কমতে শুরু করবে।
এর আগেও এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা বাড়িয়ে করোনার বিস্তার কমানো সম্ভব। এটা বিশ্বের যে কোনো স্থানের জন্যই প্রযোজ্য। তবে শুধুমাত্র আবহাওয়া পরিবর্তনের মাধ্যমেই এই ভাইরাসের প্রকোপ একেবারে বন্ধ করা সম্ভব নয়।
সে সময় চীনের বেইহাং এবং সিনঘুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানান, চীনের শতাধিক শহরে আবহাওয়া উষ্ণ এবং সেখানকার আদ্রতা বাড়তে থাকায় কোভিড-১৯য়ের প্রকোপ কমেছে।
এক গবেষক বলেন, উচ্চ তাপমাত্রা এবং আদ্রতায় দেখা গেছে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে কোভিড-১৯য়ের প্রকোপ কমছে। গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উষ্ণ তাপমাত্রা, তাপ এবং আদ্রতা কেবলমাত্র ভাইরাসের প্রকোপ কমাতে পারে। কিন্তু এটা ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করতে পারে না। চীনে যখন এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছিল তখন সেখানকার তাপমাত্রা কম ছিল। চারদিকে ঠান্ডা আর কম তাপমাত্রার কারণে ভাইরাসের প্রকোপ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্রিয়ান বলেন, আমরা এটা পর্যবেক্ষণ করেছি যে, সূর্যের আলোতে করোনাভাইরাসের মৃত্যু ঘটে। এটা কোনো কিছুর উপরিভাগ বা বাতাসে থাকা অবস্থায় করোনার মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম। আমরা আদ্রতা ও তাপমাত্রার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা লক্ষ করেছি। যেখানে তাপমাত্রা ও আদ্রতা বেশি থাকে তার চেয়ে কম তাপমাত্রা ও আদ্রতাপূর্ণ এলাকায় ভাইরাস সহজেই বিস্তার লাভ করতে পারে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে এটা কোনো থেরাপি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ সূর্যের বেগুণী রশ্মী কোনো রোগীর শরীরে ঢুকে ভাইরাসকে মারতে সক্ষম নয়।
এদিকে, ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের ভাইরোলজিস্ট বিভাগের অধ্যাপক ইয়ান জোনস বলেছেন, এটা বহু বছর ধরেই সবার জানা যে, সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি অনেক ভাইরাসের জন্যই ক্ষতিকর। এটা আসলে একেবারে নতুন তথ্য নয়। তবে কোভিড-১৯ য়ের ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে এই তথ্য জানতে পারাটা আমাদের জন্য কাজে লাগবে। জোনস বলেন, এটাকে করোনার ক্ষেত্রে চিকিৎসা হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। কারন সূর্যের অতি বেগুণী রশ্মি শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, যদি কোভিড-১৯ য়ের বিস্তার গ্রীষ্মে কমে তবে শীতকালে এর প্রকোপ বাড়তে পারে।
গবেষকরা বলছেন, শীতকালীন আবহাওয়ায় ঠান্ডা, কাশি এবং জ্বরের মতো উপসর্গগুলো বেড়ে যায়। এ সময় ভাইরাস খুব সহজেই বিস্তার লাভ করতে পারে এবং শরীরে হানা দিতে পারে। কিন্তু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ভাইরাস দ্রুত বিস্তার লাভ করতে পারে না। এর আগে এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় করোনাভাইরাস টিকে থাকতে পারে না। গবেষকরা বলছেন, প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে করোনার প্রকোপ কমার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ তাপমাত্রা যত বাড়বে ভাইরাসের বৃদ্ধি তত ঠেকানো সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।