মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একদিকে করোনাভাইরাস, অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন- কোরিয়ার নেতার অসুস্থতার খবরের পরই, করোনার পাশাপাশি নেটদুনিয়ার আগ্রহের কেন্দ্রে এখন উত্তর কোরিয়ার শাসক। ‘কী হয়েছে কিমের?’ বা ‘কিম জং উনের পর কে?’ এই ধরনের সার্চই নজর কেড়েছে গুগলে। অস্ত্রোপচারের পর কিমের অসুস্থতা নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন তার বোন কিম ইও জং।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, কিমের পর তার আসনে বসবেন বোন কিম ইও জং। যিনি বর্তমানে বড় ভাই কিম জং উনের মুখ্য পরামর্শদাতা। ২০১৮ সালে উত্তর কোরিয়ার পলিটব্যুরোতেও মনোনীত হন তিনি। উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মহিলা বলা হয় কিম ইও জং-কে। ক্ষমতায় আসলে তিনি নাকি তার বড় ভাইয়ের চেয়েও বেশি স্বৈরাচারী হবেন। কিম ইও জং-কে নিয়ে জল্পনার মধ্যেই কার্যত একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন কোরিয়ান পররাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা। কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ সুং ইয়ুন লি-র মতে, ‘কিম ইও তার দাদা, বাবা বা বড় ভাইয়ের থেকেও বেশি স্বৈরাচারী হবেন...এই সম্ভাবনা আছে।’
উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি, সরকার ও সেনাবাহিনীতে কিম ইও-র বিরাট প্রভাব রয়েছে। তিনি ভাই কিমের প্রতি অনুগত এবং বিশ্বস্ত। শোনা যায়, কিম কোনওদিন কোনও পুরুষ আত্মীয় বা পরিবারের সদস্যকে বিশ্বাস করেননি। তার একাধিক নারীসঙ্গী বা স্ত্রীকেও বিশ্বাস করেননি কখনও। কিন্তু বোনের প্রতি অগাধ আস্থা তার। এর আগে কিমের পাশে জরুরি বৈঠকগুলিতে বোন ইও-কে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। ফলে কিমের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলে যখন রটেছে এবং সেই রটনা যখন সরকারিভাবে উত্তর কোরিয়া খণ্ডন করেনি তখন পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থাগুলির রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিম অসুস্থ বা মৃত হলে সরকার ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম পছন্দ কিমের বোন কিম ইও জং। কারণ তিনি বরাবরই সর্বাধিনায়ক কিমের পছন্দ।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রভাবশালী সেজং ইনস্টিটিউটের কৌশলগত বিশেষজ্ঞ চেওং সেওং চাং বলেছেন, নিজের বুদ্ধিমত্তা, ব্যক্তিত্ব এবং পরিচালন ক্ষমতার কারণেই ইও-র উপর আস্থা রেখেছেন কিম। কিমের যুদ্ধনীতি, আমেরিকার সঙ্গে দর কষাকষির জায়গাটা বোন ইও সমর্থন করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ের সঙ্গেও নরমে গরমে কথা বলেন ইও। দাদার সব সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বোনের। সূত্র: দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।