নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চলতি বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড মতিন মিয়ার জন্য শনির দশা হিসেবে দেখা দিয়েছিল। গ্রুপ পর্ব ভালোভাবে পার হলেও শেষ চারের ম্যাচে দেখা দেয় বিপত্তি। গত ২৩ জানুয়ারি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আফ্রিকান শক্তি বুরুন্ডির বিপক্ষে খেলতে নেমে ম্যাচের শুরুতেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আক্রান্ত হন মতিন। ব্যাস, সঙ্গে সঙ্গেই স্বপ্নভঙ্গ সেমিফাইনালের।
তবে শুরুটা ছিল স্বপ্নময়। এবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ষষ্ঠ আসরে মতিনের জোড়া গোলে বাংলাদেশ সহজেই হারায় শ্রীলঙ্কাকে। ফলে মতিনকে ঘিরে টুর্নামেন্টে প্রত্যাশা ছিল বেশি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে চোটের কারণে বুরুন্ডির বিপক্ষে খেলতেই পারেননি তিনি। মাত্র চার মিনিট খেলেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মতিনকে। এই চোট তাকে শুধু বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপই নয়, চলতি মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) থেকেও ছিটকে দেয়। তবে আশার কথা মতিন এখন অনেকটাই সুস্থ। ফের মাঠে নামার অপেক্ষায় আছেন বসুন্ধরা কিংসের এই ফরোয়ার্ড।
বর্তমানের সিলেটের উসমানি নগরের বাসায় থেকে অনুশীলন করছেন মতিন। করোনাভাইরাসের আতঙ্ক নিয়ে ঘরবন্দী থাকলেও নিজেকে পুরোপুরি ফিট মনে করছেন তিনি। গতকাল মুঠোফোনে মতিন বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আমি পুরো সুস্থ হয়ে গেছি। ছুটি পাওয়ার আগে ক্লাবে ট্রেনিং করেছি। ভালোভাবে দৌড়ও দিতে পারি। এখন বাসায় আছি। বাসার পাশেই একটা মাঠ আছে। করোনা আতঙ্ক থাকলেও সুযোগ মতো ওই মাঠে একা একা অনুশীলন করছি। আমার বিশ্বাস, লিগ শুরু হলে আমি খেলতে পারবো।’
মাঠে নামতে প্রস্তুত মতিন করোনাকালের সাবধানতা মেনে চলছেন। বাসার পাশের মাঠে যখন ভিড় থাকে না, তখনই অনুশীলনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি, ‘লোকজন যখন থাকে না, তখন মাঠে অনুশীলন করি। করোনার কারণে আমি সতর্ক বলতে পারেন। সচেতন থেকে বিকালে ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করি। হালকা রানিং এবং স্প্রিট করি। নিজেকে আগের চেয়ে বেশি ফিট মনে হচ্ছে।’
এবারের বিপিএলে শুরু থেকে খেলতে পারেননি বলে আক্ষেপ আছে মতিনের। এছাড়া এএফসি কাপে বসুন্ধরার বড় জয়ের ম্যাচেও ছিলেন না। এ কারণে বেশ হতাশ মতিন, ‘অনেক আশা ছিল লিগে প্রথম থেকেই ম্যাচ খেলবো। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচও খেলতে পারিনি। তবে এখন পুরো বিশ্বাস আছে, করোনা আতঙ্ক কেটে যাওয়ার পর লিগ শুরু হলে খেলতে পারবো। আর এএফসি কাপে ইচ্ছা থাকলেও খেলা হয়নি, দুর্ভাগ্য আমার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।