বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের আকাশে মেঘের ঘনঘটা। আজ সারাদিন রোদ্দুর পরিবেশ নেই বললেই চলে। বৈশাখীর শুরু থেকেই বৃষ্টিপাতে দেখা মিলছে। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের মাত্রা থাকবে। একই সাথে ফসলহানীর কারন হয়ে উঠতে পাওে শিলাবৃষ্টি। সেকারনে সিলেট হ্ওার অঞ্চলের ধান দ্রুত ঘরে তোলতে পরামর্শ দিয়েছে আবহ্ওায়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। একই পরামর্শ দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের, সিলেট কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা। তবে সপ্তাহের শেষের দিকে বন্যার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুইয়া। তিনি বলেন, ২২ মে থেকে সিলেটের সীমান্তবর্তী ভারতের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে পাহাড়ি ঢল নেমে সিলেট বিভাগের নিচু এলাকায় আগাম বন্যা দেখা দিতে পারে। ঢলে সুরমা, কুশিয়ারা ও মনু নদী উপচে পানি হাওরে প্রবেশ করতে পারে বলে জানান তিনি।
সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল থেকে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত সিলেটে ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সিলেটে ১৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়, শিলা বৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির আগেই হাওরের সব ধান কেটে ফেলা উচিৎ বলে মনে করছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা। সিলেটের আবহ্ওায়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, এপ্রিল মাসে সাধারণত চারশত মিলিমিটারের উপরে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে, যা ধারণ করার ক্ষমতা সিলেটের মাটির রয়েছে। এদিকে গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫৫ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও মাত্র ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তাই চলতি মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও বন্যা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, সিলেটে শুরু হওয়া বৃষ্টি হতে পারে বিরতিহীনভাবে । তাই ধান কেটে শুকানোর বিড়ম্বনার শিকার হবে কৃষকেরা। এছাড়াও বর্তমানে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাইন ঘোষণা করেছে সরকার। তাই লোকবলও কম ধান কাটায়। তাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ধান কেটে নেয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। এদিকে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির ব্যাপারে তিনি বলেন, সিলেটে বৃষ্টির সাথে সাথে কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। সিলেটে বজ্রপাতটা মার্চ মাস থেকে শুরু হয়, যেহেতু মার্চ মাসটা পুরোটাই শুষ্ক গেছে তাই এপ্রিল ও মে মাসে বজ্রপাতের পরিমাণটা বাড়বে। এছাড়া শিলাবৃষ্টি এখনো সিলেটে আঘাত না করলেও সামনে প্রচুর পরিমাণে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে ধান কাটার তাগিদ দেন তিনি।
সিলেট আবহাওয়া অফিস প্রদত্ত পূর্বভাসের সাথে একমত পোষণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা জানান, সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিণাম বেশি থাকলেও আগামী চলতি সপ্তাহে বন্যার কোন আশঙ্কা নেই। সিলেটে বন্যা হয় পাহাড়ি ঢলের কারণে। তবে আগামী সাত দিন ভারতের আবহাওয়া পূর্বাভাসেও আমাদের জন্য শংকার আলামত নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।