মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের খ্রিস্টান-প্রাধান্যপূর্ণ মেঘালয় রাজ্যে একটি বেসরকারি খ্রিস্টান হাসপাতালের কোডিভ-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে এক চিকিৎসকের মৃত্যু এবং কয়েকজন স্টাফের এতে আক্রান্ত হওয়ায় সেখানে ভয়াবহ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মেঘালয় রাজ্য সরকার ১৫ এপ্রিল নিশ্চিত করেছে যে রাজধানী শিলংয়ের বেথানি হাসপাতালের ডা. জন সেইলো রিনতাথিয়াং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার পরিবার ও স্টাফদের কয়েকজনের মধ্যে কয়েকজনের দেহে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। মুখ্যমন্ত্রী কনরার্ড স্যাঙ্গমা ১৫ এপ্রিল টুইটে বলেন, আমি গভীর দুঃখের সাথে বলছি যে ডা. জন সেইলো কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মেঘালয় ছিল একমাত্র রাজ্য যেখানে কোভিড-১৯ হানা দেয়নি। ফলে রাজ্যটি অফিস আদালত ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আবার খুলে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছিল। ৬৯ বছর বয়স্ক সেইলো ধর্মগুরু-চিকিৎসক ছিলেন জনপ্রিয় এই হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি চিকিৎসাকাজ চালিয়ে গেছেন, এরপর তার করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। ১৭৫ শয্যার হাসপাতালটি চালু করা হয় তিন দশক আগে। প্রতিদিন এখানে শত শত রোগীর চিকিৎসা চলে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এখন মনে করছেন যে এই স্থাপনাটিই এখন করোনাভাইরাসের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। রাজ্য সরকার হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে, রাজ্যের রাজধানীতে কারফিউ জারি করেছে। স্যাঙ্গমা টুইটে জানিয়েছেন, রাজ্যে এখন পর্যন্ত যে ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাস দেখা গেছে, তাদের সবাই ওই চিকিৎসকের পরিবার সদস্য বা হাসপাতালে তার সাথে সংশ্লিষ্ট স্টাফ। মারা যাওয়া ওই চিকিৎসক অন্য কোথাও ভ্রমণ করেছেন বলে জানা যায় না। মেঘালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ১৬ মার্চ নিউ ইয়র্ক থেকে বিমান নিয়ে দিল্লিতে আগমনকারী তারা জামাতার সংস্পর্শে এসে ওই চিকিৎসক ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। ওই পাইলট এয়ার ইন্ডিয়ায় কর্মরত। দিল্লি থেকে শিলং আসার পর তাকে ২৪ মার্চ হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ভারতের এই অঞ্চলের সাতটি রাজ্যে মাত্র ৪৬টি করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে আসামে ৩২ জন, মেঘালয়ে সাতজন। খ্রিস্টান প্রাধান্যপূর্ণ নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও অরুনাচর প্রদেশের সবগুলোতে একজন করে রোগী আছে। মনিপুর ও ত্রিপুরায় আছেন দুজন করে। মেঘালয়ের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, এসব রাজ্যের আক্রান্ত সবাই মেথানি হাসপাতালে গিয়েছিলে। আশঙ্কা হলো, তারা হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে তাদের গ্রামে ও বাড়িতে ওই ভাইরাসটি নিয়ে এসেছেন। রাজ্য সরকার ওই হাসপাতালে যাওয়া সব লোককে তাদের পরিবারসহ সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকার আহবান জানিয়েছে। ইউসিএ নিউজ, এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।