বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার পর এর সংক্রমণ রোধে সারাদেশের মতো বান্দরবানেও বসানো হাত ধোয়ার বেসিনগুলো ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের বেসিন ও পানির ড্রামগুলো অনেক জায়গায় এখন আর দেখা যাচ্ছে না। দ্বিতীয় ধাপের করোনা মহামারী মোকাবেলা করতে যাচ্ছে মানুষ। এখন আবারো ঘন ঘন হাত ধোয়ার প্রয়োজন হবে। যার কারণে বেসিনগুলোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, বান্দরবানে প্রথম ধাপে ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় হাইজিন প্রকল্প’র আওতায় জেলা সদরসহ ৭টি উপজলোর বিভিন্ন পয়ন্টে ৩১টি হাত ধোয়ার বেসিন এবং ১১টি পানির ড্রাম নির্মাণ করেছিল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। কিন্তু কয়েক দিন না যেতেই এসব বেসিনের ব্যবহার কমে গেছে। রাস্তার ধারে যে ক’টি বেসিন চোখে পড়ে তাও পরিত্যক্ত। পানি নেই, ময়লা আবর্জনায় ছেয়ে গেছে। এখন জনস্বাস্থ্য বিভাগ পুনরায় বেসিনগুলো সংষ্কারের কথা ভাবছে। এভাবে সরকারি অর্থ অপচয়ের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। শুধু জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরই নয়, বিভিন্ন এনজিওর পক্ষ থেকে যেসব বেসিন বসানো হয়েছিল তার অবস্থাও একই।
সরেজমিনে বান্দরবান জেলা সদরের কয়েকটি স্পটও বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম ধাপের করোনাকালীন সময়ে বেশ তড়িগড়ি করেই বেসিনগুলো বসানো হয়েছিল। কিন্তু মাস না পেরোতেই অনেক বেসিন নষ্ট হয়ে যায়। অনেক জায়গায় পানির ড্রাম নেই। কোথাও সাবান থাকলে পানি নেই, আবার পানি থাকলে সাবান নেই এমন অবস্থা।
এ প্রসঙ্গে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলম প্রধান জানান, পৌরসভা ও সদর উপজেলার বেসিন ভালো আছে। বাকি উপজেলার বেসিনগুলোর অবস্থা জানা নেই। তারপরও যদি ব্যবহার অনুপযোগী হয় পুনরায় সংষ্কার করে দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।