মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একদল গবেষক দাবি করেছেন যে, উত্তর লাওসিয়ান চুনাপাথরের গুহায় বসবাসকারী হর্সশু প্রজাতির বাদুড়ের দেহে তারা করোনাভাইরাসের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন। লাওসিয়ান এবং ফরাসি একদল গবেষক কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রি-প্রিন্ট গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, হর্সশু বাদুড়ে পাওয়া এই ভাইরাসগুলোর সার্স-কোভ-২ এর জিনোমের অনুরূপ একটি রিসেপ্টর-বাইন্ডিং ডোমেন রয়েছে। এমন তথ্য কোভিড-১৯ ভাইরাসের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে হর্সশু প্রজাতির বাদুড়কে দায়ী করে।
চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড পেকিং ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজ এবং শেনইয়াং অ্যাগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি সহ বেশ কয়েকটি ইনস্টিটিউট দ্বারা পরিচালিত আরেকটি গবেষণা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, চীনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগৃহীত বাদুড়ের কোন নমুনায় সার্স-কোভ-২ এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
হুবেই প্রদেশের উহানের মাংসের দোকান থেকে ১০২টি নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি গবেষকরা গত পাঁচ বছরে চীনের সাতশো’রও বেশি স্থানের ১৩ হাজারের বেশি বাদুড়ের গলা এবং মলদ্বার থেকে সোয়াব সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু গবেষণায় সার্স-কোভ-২ এর সদৃশ কোন ভাইরাসের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই প্রেক্ষিতে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাস প্রাণী থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণের প্রথম ঘটনা এবং বিশ্বের বিভিন্ন ভৌগলিক স্থানে এর উৎস অনুসন্ধান অভিযান শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকগণ আরও বিস্তৃত পরিসরে গবেষণার আহ্বান জানান।
এদিকে, একটি নতুন গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ এর প্রথম কেস এবং হর্সশু প্রজাতির বাদুড় থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনায় নতুন উদ্বেগ ও সংশয়ের জন্ম দিয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না এবং ইউনিভার্সিটি অব চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’র গবেষকগণ কর্তৃক পরিচালিত এবং চীনের প্রিপ্রিন্ট সার্ভার চায়নাজিভ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রিপ্রিন্ট অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রথম ঘটনা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের অনেক আগে ঘটেছে - এমন হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ।
গবেষকগণ বিশ্বাস করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের প্রথম কেস ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট করা হতে পারে, যেখানে সম্ভাব্য প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল রোড আইল্যান্ডে। এই গবেষণার বিপরীতে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ গত বছরের ১০ জানুয়ারি কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রথম কেস নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি রাজ্য এবং কলম্বিয়ায় কর্মরত স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত মহামারি সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা এমন চমকপ্রদ তথ্য আবিষ্কার করেছেন। যে ১১টি রাজ্য থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে নিউ জার্সি, ভরমন্ট, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, নিউ হ্যাম্পশায়ার, লুইজিয়ানা, কানেকটিকাট, নিউ ইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া, মেরিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, ডেলাওয়্যার এবং রোড আইল্যান্ড।
গবেষকরা তাদের গবেষণায় উল্লেখ করেন, “হিসেব মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি সংক্রমণের অধিক সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ববর্তী কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, চীনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, ব্রাজিল এবং অন্যান্য কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস আঘাত হানে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।