Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীর কাঁচাবাজার করোনা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো করোনার ঝুঁকি মারাত্মক ভাবে বৃদ্ধি করছে। কাঁচাবাজারগুলোতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের ভিড় লেগে থাকে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব একেবারেই মানা হচ্ছে না। বাজারের ছোট ছোট গলিতে শত শত মানুষ একে অন্যের গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বাজার করছে। প্রতিটি দোকানের সামনে ১২/১৪ জন ক্রেতা এক সঙ্গে জটলা করে সওদা কিনছে। দেশের সব কিছু বন্ধ রেখে অর্থাৎ লকডাউনে রেখে কাঁচাবাজারগুলো এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন রাখার ফলে ঝুঁকি রাড়তেই থাকবে।

রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, শান্তিনগর, কাওরানবাজার সেগুনবাগিচাসহ আরও কয়েকটি কাঁচাবাজারে গতকালও দেখা গেছে মানুষের ভিড়। বাজারে আসা ক্রেতারা মানছেন না সামাজিক দূরত্বের বিধি নিষেধ। অনেক বিক্রেতারও ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য নেই মুখে মাস্ক হাতে গøাভস। খালি হাতেই টাকা লেনদেন ও পণ্য দেয়া নেয়া চলছে।

খিলগাঁও রেললাইনের পাশঘেষা বাজারের প্রথম গলিতে বেকারি আইটেম থেকে শুরু করে মশলা, মুদির দোকান, দা বটির দোকান, কসমেটিক, কাপড় ও পশু পাখির খাবারের দোকান রয়েছে। বাজারের বাইরে সবজি ফলমূলের দোকান। সকাল ১১টায় সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ছোট এই গলিতে শত শত ক্রেতা আসা যাওয়া করছেন। বলতে গেলে পা ফেলার জায়গা নেই। প্রতিটি দোকানের সামনে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

কথা হয় বেনজির বাগান এলাকার বাসিন্দা কালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ পর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাসা থেকে বের হলাম। বাজারে এসে দেখি মানুষের ভিড়। তাই বাজারে প্রবেশের সাহস পাচ্ছি না। শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা সায়েম আহমেদ বলেন, নিজে সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছি। কিন্তু বাজারে আসা অনেকেই সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছেন না। কার শরীরে করোনা সংক্রমন আছে তা আমরা জানি না। তাই বাজারের এমন চিত্র দেখে ভয় পাচ্ছি। কিছু পণ্য কেনার জন্য বাজারে না এসে উপায় নেই। তাই এসেছি। তবে বাজারের এই বেহাল অবস্থার প্রতি প্রশাসনের এ বিষয়ে নজর দেয়া প্রয়োজন বলে তারা জানান।
দুপুরে মালিবাগ বাজারেও দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই বাজারে এসেছেন অনেকে। একইভাবে শান্তিনগরসহ আরও কিছু বাজারে চিত্র একই। ওদিকে ঢাকার সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার নামে খ্যাত কাওরানবাজারের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। সবজি, ফলমূল ও অন্যান্য পণ্যের পাইকারি বাজার হওয়াতে এখানে রাতদিন হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা। বিশেষকরে রাত হলে এ বাজারের পরিবেশ জমজমাট হয়ে উঠে।

সন্ধ্যার পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী গাড়ি আসতে শুরু করে। তারপর থেকে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। একই অবস্থা থাকে পরদিন সকাল পর্যন্ত। এই সময়টা কাওরানবাজারে পা ফেলার উপায় থাকে না। করোনা পরিস্থিতিতে কিছুটা কম হলেও এ বাজারে ঝুঁঁকি চরমে। শহরের বিভিন্ন এলাকার পাইকারি পণ্য কিনতে যাওয়া ব্যবসায়ীরা সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করেন না। এছাড়া আড়তের কর্মচারীদের একই অবস্থা।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজধানী

১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
১৭ নভেম্বর, ২০২২
১১ অক্টোবর, ২০২২
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ