২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
থাইরয়েড আমাদের শরীরের একটি গ্রন্থির নাম। আমাদের গলার সামনে এটি থাকে। এই গ্রন্থির কাজ হল আমাদের শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমোন (থাইরক্সিন) তৈরি করা। শরীরে বিভিন্ন কাজ করে এই হরমোন। এই হরমোন তৈরি কম হলে তাকে আমরা বলি হাইপোথাইরয়ডিজম। মেয়েদের এই অসুখ বেশি হয়। ছেলেদেরও এই সমস্যা হতে পারে তবে মেয়েদের তুলনায় অনেক কম হয়।
হাইপোথাইরয়ডিজমে বিভিন্ন উপসর্গ থাকে। এসব উপসর্গের মধ্যে আছেঃ
১। ক্লান্তিভাব। একটুতেই রোগী হাঁপিয়ে উঠে ।
২। ওজন বেড়ে যাওয়া । কম খেলেও রোগীর ওজন বাড়তে থাকে।
৩। শীত বেশি লাগা।
৪। পায়খানা শক্ত হওয়া।
৫। দূর্বলতা। রোগী সবসময় দুর্বলতা অনুভব করে।
৬। মাসিক বেশি হওয়া। এর থেকে দেখা দেয় রক্তাল্পতা।
৭। হার্টের স্পন্দন ধীরে হওয়া। চিকিৎসক পালস দেখে বুঝতে পারেন।
৮। গলার স্বরের পরিবর্তন হয়, গলা আগের চেয়ে ভারি হয়ে যায়।
৯। চামড়া শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায় ।
১০। চুল পড়ে যায় ।
সবার যে একইরকম লক্ষণ থাকবে তা নয়। বিভিন্নজনের বিভিন্ন লক্ষণ থাকে। একজনের আবার সবগুলো লক্ষণ নাও থাকতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজমে থাইরক্সিন হরমোন কমে যায় বলেই এসব সমস্যা হয়।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক ইতিহাস নিয়ে এবং শারীরিক পরীক্ষা করে অনেকটাই এই রোগটি ধরতে পারেন। নিশ্চিত হবার জন্য রক্তে হরমোন মাপতে হয়। টি থ্রি এবং টি ফোর হরমোন কমে যায় এবং থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোনের (টিএসএইচ) মাত্রা বেড়ে যায়। হাইপোথাইরয়েডিজমে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সকালে খালি পেটে হরমোন ওষুধ খাওয়া ভাল। ওষুধ খাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে চা কফি বা খাবার খাওয়া ঠিক নয়। ভিটামিন সি খেলে হরমোন বেশি কাজে লাগে। হরমোনের ডোজ প্রয়োজনে আস্তে আস্তেবাড়াতে হয়। রক্ত পরীক্ষা না করে ওষুধের ডোজ বদলানো কখনই উচিত নয়। প্রথম প্রথম একটু ঘন ঘন রক্ত পরীক্ষা করাতে হয়। এর পর ছয় মাস বা এক বছর অন্তর রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি হয়। অনেকের সারাজীবন ওষুধ খেতে হতে পারে।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।