পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মাসেতুর ৪২টি খুঁটির সবগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ। আর সেই সঙ্গে এই খুঁটির নির্মাণে জড়িত থাকা শ্রমিকদের কাজও শেষ হওয়ায় সেতু প্রকল্প থেকে বিদায় নিয়েছেন প্রায় ৭’শ শ্রমিক। তবে দক্ষতা বিবেচনায় পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে তাদের নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের দিন পদ্মাসেতুর প্রকল্প এলাকা থেকে শেষবারের মতো বেরিয়ে যায় তারা। তবে তাদের এ মাসের পুরো বেতন দিয়েছেন ঠিকাদার।
প্রকল্প সূত্র জানায়, গত সোমবার থেকে তারা প্রকল্প এলাকা থেকে বিদায় নেওয়া শুরু করে। সকালের দিকে বেশিরভাগ শ্রমিক ট্রাকে ওঠে প্রকল্প এলাকা থেকে বেরিয়ে যায়।
বহুমুখী পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্প ব্যবস্থাপক নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ করছে। এসব শ্রমিককে সেই প্রকল্পে নতুন করে নিয়োগ দিয়েছে তারা।
তিনি জানান, মূল সেতুর সাবস্ট্রাকচার (পাইলিং ও পিয়ার)-এর কাজ শেষ হওয়ায় এ কাজে নিয়োজিত প্রায় ৭০০ অস্থায়ী শ্রমিককে বিদায় দিতে হয়েছে। তবে তারা বেকার থাকছে না। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে তাদের কাজ চলছে।
পদ্মাসেতু রেল লিংক প্রকল্পের কাজ একই ঠিকাদার (এমবিইসি) পাওয়ায় এই সব অস্থায়ী শ্রমিক তারা সেখানে ট্রান্সফারপূর্বক নিয়োজিত করছে।
দেওয়ান কাদের জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য এসব শ্রমিককে রেল লিংক প্রকল্পে নিয়োগ দেওয়া হলেও তারা মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে অবস্থান করবে। গাড়িতে করে তাদের রেলিং প্রকল্পের বিভিন্ন সেতুর কাজে নিয়ে যাওয়া হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকার বাইরে গিয়ে থাকবে। প্রকল্প সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর একেকটি খুঁটি ৫০ হাজার টন লোড সক্ষমতার। আর এ সব খুঁটি নির্মাণে বিরল প্রকৌশল পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। দীর্ঘদিন এই খুঁটি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত থাকে এসব নির্মাণ শ্রমিক বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছিল।
এমনকি চীনের শ্রমিক দলের সঙ্গে মিশে নদীতে জটিল ২২টি পিলারের কাজও শেষ করেছিল তারা। নদীর তলদেশে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মাটি বদলে নতুন মাটি তৈরি করে পিলার গাঁথার ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ পদ্ধতিতে কাজ করেছে এই শ্রমিক দল।
এমন পদ্ধতিতে কোনো সেতুর খুঁটি নির্মাণ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এবং বিশ্বে নজিরবিহীনও।
নদীতে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারসহ তিন জেলা মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরিয়তপুর মিলিয়ে সাড়ে ৯ কিলোমিটার লম্বা পদ্মাসেতু। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। আগামী বছর জুনে পদ্মাসেতু খুলে দেওয়া হবে। তখন একসঙ্গে সড়ক ও রেলপথে চালু হবে। এখন পর্যন্ত পদ্মাসেতু চার কিলোমিটার দৃশ্যমান। শেষ হয়েছে পদ্মাসেতুর সড়ক ও রেলওয়ে যাব।
পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি-৮৬ দশমিক ৭৫ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতি- ৮৩ দশমিক ৯৭ ভাগ। মূল সেতু কাজের চুক্তিমূল্য- ১২ হাজার ১৩৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা এবং এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে- ১০ হাজার ১৮৮ দশমিক ০৭ কোটি টাকা। ।
নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৭০ দশমিক ৫০ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৫৫ দশমিক ০৫ ভাগ।
নদীশাসন কাজের চুক্তিমূল্য- ৮ হাজার ৭০৭ দশমিক ৮১ কোটি টাকা এবং এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে- ৪ হাজার ৭৯৩ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার বাস্তব কাজের অগ্রগতি- ১০০ ভাগ।
মূল সেতুতে মোট ৪২টি এবং দুইপ্রান্তের ভায়াডাক্টে ৯১ (৪৪+৪৭)টিসহ সর্বমোট ১৩৩টি পিয়ার রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।