নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও। কিন্তু ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেই কি-না মাঠে গিয়েছিলেন তিনি। অনুশীলন করতে আর ফিটনেস ঠিকঠাক রাখতে। কিন্তু পর্তুগিজ তারকার এই কাজকে ভালোভাবে নেননি অনেকে। লকডাউনের মাঝে বাইরে অনুশীলন করতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। তবে তার জন্মস্থান মাদেইরার স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ এতে দোষের কিছু দেখছে না। চলমান সংকট মোকাবিলায় ইউরোপের অধিকাংশ দেশের মতো পর্তুগালেও চলছে লকডাউন। জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড রোনালদোও তাই সময় কাটাচ্ছিলেন ঘরের ভেতরে থেকে। গেল মাসে অসুস্থ হয়ে পড়া মাকে দেখতে মাদেইরাতে যাওয়ার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে সেখানেই থাকছেন তিনি। ইতালি থেকে পর্তুগালে পৌঁছে ১৪ দিনের বাধ্যতাম‚লক কোয়ারেন্টিনেও ছিলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। এতদিন তিনি অনুশীলন সেরেছেন বাড়ির ভেতরেই, এমনকি বান্ধবীকে দিয়ে চুলও কাটিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি রোনালদোর মাঠে গিয়ে অনুশীলনের বেশ কিছু ছবি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। আর এতেই তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
মাদেইরার ক্লাব সিডি ন্যাশিওনালের হোম ভেন্যু ফুনচালে অবস্থিত। সেখানেই অনুশীলন করতে গিয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়সী রোনালদো। এটি ওই অঞ্চলের জাতীয় স্টেডিয়াম। আর রোনালদো একা ছিলেন না সেখানে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন অনুশীলন সেরেছেন। এমন ঘটনায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সেক্রেটারি পেদ্রো রামোস বলেন, ‘অনুশীলন করার জন্য রোনালদোর কোনো বিশেষ অনুমতি নেই। অন্যান্য সকল নাগরিকের মতো তিনিও অনুশীলন করতে পারবেন। তবে তাকে নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তার জন্য কোনো বাড়তি সুবিধা নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা কোনো জমায়েত না ঘটান এবং নিজেদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখেন, ততক্ষণ যে কোনো নাগরিক বাড়ির বাইরে যেতে পারেন এবং অনুশীলন করতে পারেন। আর রোনালদো কী করেছেন তা আমরা দেখেছি।’
সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্ষতিকর কিছু করেননি জানিয়ে তিনি যোগ করেছেন, ‘বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের উচিত নিজের ভাবমূর্তিকে বাকিদের জন্য উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা। তবে আমার মনে হয়েছে, রোনালদো অল্প কয়েক মিনিটের জন্য অনুশীলন করেছেন। এতে কোনো ক্ষতি দেখছি না আমি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।