প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
‘শৈশবে বাবার হাতের সেই চড়ের কথা আজও মনে পড়ে। মনে পড়তেই গা শিঁউরে ওঠে। সেটা যেন কোনো চড় ছিল না, ছিল একগুচ্ছ অনাহারী মানুষের মিলিত চপেটাঘাত’- এভাবেই ১৯৮৮ সালের বন্যায় একটি বিস্কুট খেয়ে বাবার হাতের চড়ের বর্ণনা দিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশীদ।
তিনি বলেন, দুর্যোগে মানুষের পাশে কিভাবে থাকা যায় বা কিভাবে কাজ করলে ক্ষতিগ্রস্থরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন সে ভাবনাতেই কাটতো বাবার দিনরাত। বাবা কাজী ফিরোজ রশীদ ছিলেন ওই সময় ত্রাণমন্ত্রী (বর্তমান ঢাকা -৬ আসনের সাংসদ)।
“আমি দেখেছি মন্ত্রী হিসেবে বাবার সে অক্লান্ত পরিশ্রম আর নিষ্ঠা। ১৯৮৮ সালের ওই বন্যায় বাবা প্রতিদিন খুব সকালে বেড়িয়ে পড়তেন। ফিরতেন গভীর রাতে। বাড়ি ফিরেও ফোনে চলতো তার কড়া নির্দেশনা।”
তিনি বলেন, বন্যায় ত্রাণ হিসেবে বিদেশ থেকে ক্যালোরিযুক্ত বিস্কুট এসেছিল। খুবই স্বাধের ছিল ওই বিস্কুট। বাসা তখন ত্রাণের গোডাউন। এদিক সেদিক ছড়িয়ে নানা ধরনের খাবার। মানুষ আসছে দেওয়া হচ্ছে। ট্রাকে করে এদিক সেদিক যাচ্ছে ত্রাণ হিসেবে। এরমধ্যে কাজের লোক একটা কৌটা নিয়ে আসলে সেখান থেকে দুটি বিস্কুট খেয়েছিলাম। ভীষণ মজাদার ছিল। রাতে বাবা বাড়ি ফিরলে তাকে ওই বিস্কুটের গুণগান করছিলাম। তিনি জানতে চাইলেন সেগুলো কি ত্রাণের বিস্কুট কি না? জবাবে বললাম- হ্যাঁ। এ কথার সঙ্গে সঙ্গে একটু চড় মেরেছিলেন আজও মনে পড়ে সেই চড়ের কথা। এমন কি মাকেও কড়া কথা শুনতে হয়েছে এজন্য। খুব কেঁদেছিলাম। পরে বাবা কাছে ডেকে বলেছিলেন ওগুলো অসহায়দের জন্য রিলিফ। তুমি এখনও অনেক ভালো আছো এজন্য শুকরিযা করো। যারা অসহায় তাদের জন্য বরাদ্দ কিছুতে তাই তোমার হক নেই। ওতে ওদের হক। আর মন্ত্রী হিসেবে সেগুলো ওদের হাতে পৌঁছে দেওয়া আমার দায়িত্ব।
ওই সময়ের সঙ্গে এখনকার অবস্থার কতো পার্থক্য। এখনও ত্রাণ আসে। সেগুলো চলে যায় কালোবাজারে পার্থক্য শুধু এতটুকুই- হতাশার সঙ্গে যোগ করেন তরুন এই প্রদর্শক সমিতির নেতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।