করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে গত একদিনে ৯৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা আট হাজার ৯৫৮ জনে পৌঁছেছে। শুক্রবার ব্রিটিশ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দিন যত যাচ্ছে, ব্রিটেনে
করোনা পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে। মৃত্যুর মিছিল লম্বা হচ্ছে একের পর এক। এক একটি দিন পার হচ্ছে, আর নতুন দিনটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের দিনটিকে।
করোনাভাইরাসের কারণে আজও ব্রিটেনজুড়ে তৈরি হয়েছে লাশের মিছিল। আজও মৃত্যু হয়েছে ৯৮০জন। এরে মধ্যে ইংল্যান্ডে মৃত্যু হয়েছে ৮৯৬ জন। বাকি ৮৭জনের মৃত্যু হয়েছে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে।
গত বুধবার ছিল যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর দিন। ওইদিন মোট ৯৩৮জন মৃত্যু বরণ করেছিল। এবার সেই সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেলো আজকের (শুক্রবার) মৃত্যুর সংখা। ডেইলি মেইল জানিয়েছে এ তথ্য।
শুধু তাই নয়, একদিনে মৃত্যুর হিসেবে স্পেন এবং ইতালির রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেলো গ্রেট ব্রিটেন। ইতালিতে একদিনে সর্বোচ্চ ৯১৯ এবং স্পেনে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটেছে ৯৫০ জনের। এবার যুক্তরাজ্য ছাড়িয়ে গেলো তাদেরকে। আর একদিনে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৫১৯৫ জন।
৯৮০ জনকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি (৮৯৫৮ জন)। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৯৩১ জন। বৃহস্পতিবার বলা হচ্ছিল, আগেরদিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু আজ শুক্রবারই তৈরি হলো মৃত্যুর দিক থেকে সবচেয়ে অন্ধকারতম দিন।
যদিও ব্রিটেনের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের পক্ষ থেকে এই সংখ্যার বিষয়ে এখনও নিশ্চয়তা দেয়া হয়নি। তবে বৃটিশ মিডিয়া এরই মধ্যে দিনের (সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার) হিসেব বের করে ফেলেছে।
ব্রিটিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত এক দিনে দেশটিতে মোট ১৯ হাজার ১১৬টি
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭০৬টি নমুনায়। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৭৭ জনে।
শুক্রবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, আমাদের সবার বাড়িতে থাকা উচিত। কখনোই এই সংখ্যাগুলো ভুলে গেলে চলবে না। প্রতিটি সংখ্যার সঙ্গে একটি নাম রয়েছে। একটি প্রাণহানির পর ওই পরিবারটি আর কখনোই আগের অবস্থায় ফিরবে না।
আজই ব্রিটেনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, গত ২৩ মার্চ ঘোষণা দেয়ার পর থেকে
লকডাউন এখনও চলছে এবং সামনে কোন সময়ে গিয়ে
লকডাউন তোলা যাবে তা, নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই।