গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা মহানগরের ৫০ থানা এলাকার মধ্যে ৩৩টিতেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। এসব এলাকায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৩৩ জন ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তারা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এসব এলাকার ৩০৮টি বাড়ি ও একটি আবাসিক এলাকা পুরো লকডাউন করে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অন্তর্গত বিভিন্ন থানা থেকে পাওয়া উপাত্তের ভিত্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে সূত্রগুলো জানায়, এসব এলাকায় আরও অনেকের নমুনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরসহ বিভিন্ন অনুমোদিত ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আটটি বিভাগ। এই আট বিভাগে মোট থানার সংখ্যা ৫০টি। আর করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্ত করার বিষয়টি দেখভাল করে থাকে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। সে তথ্য ঘোষণা করে থাকে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই রোগীর ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করে তার বাড়ি বা এলাকা কোয়ারেন্টাইন অথবা লকডাউনের সিদ্ধান্ত দেয় আইইডিসিআর। তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের সব থানা পুলিশ।
রাজধানীতে ডিএমপির কোন বিভাগে এবং কোন থানায় কতজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে তা বিভাগওয়ারি বিশ্লেষণ করা হলো:
ডিএমপির রমনা বিভাগ : রমনার ছয়টি থানার মধ্যে পাঁচটি থানা এলাকায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দশটি ভবন লকডাউন করা হয়েছে।
রমনা থানা : মগবাজারের রিজেন্ট টাওয়ার লকডাউন করে দিয়েছে পুলিশ। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। বাড়িটি পুরোপুরি লকডাউন করা যায়নি। কারণ, সেখানে অনেক বাসিন্দা রয়েছে।
ধানমন্ডি : ধানমন্ডি থানা এলাকার তিনটি বাড়িতে তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তারা বাড়িতেই আছেন। বাড়িতে তাদের চিকিৎসা চলছে। এজন্য তিনটি সড়কের তিনটি ভবন লকডাউন করা হয়েছে। সড়কগুলো হলো ৫, ৬এ এবং ২৮ নম্বর সড়ক।
শাহবাগ : শাহবাগ থানা এলাকায় কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের একজন অধ্যাপক আক্রান্ত হওয়ায় এবং ওই হাসপাতালের পাশের একটি বাড়িতে প্রথম দিকে একজন রোগী ধরা পরায় লকডাউন করা হয়েছিল। তবে ১৪ দিন পার হওয়ার পর সেখানে আর কোনও রোগী পাওয়া যায়নি। তাই লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নিউমার্কেট : ডিএমপির নিউমার্কেট থানায়ও এখন পর্যন্ত কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি।
হাজারীবাগ : হাজারীবাগ থানায় চারটি বাড়িতে রোগী শনাক্ত হয়েছে। এইজন্য চারটি বাড়িই লকডাউন করা হয়েছে। বাড়িগুলো হলো গণকটুলি ২০/২২ ও ১০/১, ঝিকাতলা ৪২/৮ এবং শঙ্কর বেকারি গলির একটি বাড়ি। এসব বাড়ি এড়িয়ে চলার জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে।
কলাবাগান :
কলাবাগান থানা এলাকায় দুটি সড়কের দুটি বাড়িতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। সেগুলো হলো সেন্ট্রাল রোডের একটি বাড়ি এবং গ্রিনরোডের একটি বাড়ি।
লালবাগ বিভাগ : ডিএমপির লালবাগ বিভাগের ছয়টি থানার মধ্যে পাঁচটিতেই রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই এলাকায় লকডাউন করা হয়েছে ২০১টি বাড়ি।
লালবাগ : রাজধানীর লালবাগ থানা এলাকার আটটি বাড়ি লকডাউন। লালবাগ সড়কে দুটি বাড়ি, বড়বাট মসজিদ এলাকায় একটি ভবন এবং চায়নাগলিতে ছয়টিবাড়ি লকডাউন করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি : কোতোয়ালি থানা এলাকায় একটি ভবন লকডাউন করা হয়েছে।
বংশাল : বংশাল থানা এলাকার মেরিনার্স টাওয়ার লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়াও সিদ্দিকবাজারের ১৩৩ নম্বর ভবন, আলী নেকীর দেউরী রোডের মসজিদ সংলগ্ন দশটি ভবন, একই সড়কের ৪৩/১১ নম্বর বাড়ি, ২৩১ বংশাল বাড়ি এবং ১/৩২ টেকেরহেড লেনের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এই এলাকায় পাওয়া যাওয়া সাত রোগীর মধ্যে পাঁচজনের হাসপাতালে, বাকি দুজনের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে।
কামরাঙ্গীরচর : কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকা এখনও করোনামুক্ত আছে। এই এলাকায় এখনও কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি।
চকবাজার : বুয়েটে শিক্ষকদের একটি কোয়ার্টার, খাজে দেওয়ান প্রথম লেন ও দ্বিতীয় লেনের দেড়শ’ বাড়ি, উর্দুগলির চারটি বাড়ি এবং ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের তিনটি বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে।
সূত্রাপুর : সূত্রাপুর থানা এলাকায় পাঁচটি ভবন লকডাউন করা হয়েছে। এই এলাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক ব্যক্তি। যেসব বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে সেগুলো হলো- ৩৯ নন্দলাল রোড, ২৪ নন্দলাল রোড, ২৫ নন্দলাল রোড, রিশিকেশ দাস লেনের একটি করে বাড়ি, ২১/১/২৩ জাস্টিস লাল রোড, ২৩/২৩ জয়চন্দ্র ঘোষ রোড এবং পিসি ব্যানার্জি রোডের একটি বাড়ি।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগ : ওয়ারী বিভাগের ছয়টি থানার মধ্যে পাঁচটি থানা এলাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। নয়টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
ওয়ারী : ওয়ারী থানা এলাকার বনগ্রাম রোডের একটি ভবন এবং র্যাংকিং স্ট্রিট রোডে একটি ভবন লকডাউন করেছে পুলিশ।
ডেমরা : ডেমরা থানা এলাকার ধার্মিকপাড়া কোনাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এজন্য ওই বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।
শ্যামপুর : শ্যামপুর থানা এলাকায় কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি। ওই এলাকার মানুষকে নিরাপদে রাখতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
যাত্রাবাড়ী : যাত্রাবাড়ী থানার মীরহাজীরবাগ এলাকার নবীনগর গলির একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ওই বাড়িতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের একজন ক্যামেরাপারসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গেন্ডারিয়া : গেন্ডারিয়া থানার গুরুদাস লেনে একটি বাড়ি, ডিসটিলারি রোডের ১৩১ নম্বর বাড়ি, নাওয়াপাড়া ৭৯/এ এবং লালখান এলাকার ৮৪/১৬ নম্বর বাড়িতে রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই বাড়ি চারটি লকডাউন করা হয়েছে।
কদমতলী : কদমতলী থানার পাটেরবাগ এলাকার একটি বাড়িতে একজন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগ : ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের সাতটি থানার মধ্যে চারটি থানা এলাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্তরোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনটি থানা এলাকায় এখনও কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি। এই বিভাগে বা আক্রান্ত চারটি থানার ছয়টি বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে।
মতিঝিল : মতিঝিলের অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখার একজন কর্মকর্তা করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে বলে যে আশঙ্কায় ব্যাংকটির শাখা লকডাউন করা হয়েছিল, তা সঠিক নয় বলে আজ আবার জানানো হয়েছে। ওই ব্যাংকার আক্রান্ত নন বলে নিশ্চিত হয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাই ব্যাংকটি খুলতে চান তারা।
সবুজবাগ : রাজধানীর সবুজবাগের নন্দিপাড়ায় জিরো গলির একটি বাসায় একসঙ্গে ছয় ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সবাইকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই বাড়িটি লকডাউন করেছে পুলিশ।
খিলগাঁও : খিলগাও থানা এলাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনও রোগী পাওয়া যায়নি।
পল্টন : পল্টন মডেল থানা এলাকায় তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এজন্য তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সেগুলো হলো কালভার্ট রোডে দুটি বাড়ি এবং শান্তিনগর হোয়াইট হাউজ ভবনের উল্টোদিকের একটি বাড়ি।
রামপুরা : রামপুরা এলাকায় আইইডিসিআরের তালিকায় একজন রোগী আছেন। তবে রোগী হিসেবে যার নাম আছে তার দাবি তিনি অসুস্থ নন। করোনাভাইরাস পরীক্ষায় তিনি নেগেটিভ প্রমাণিত হয়েছেন। তারপরও তালিকায় তার নাম থাকায় তিনি অবাক হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আইইডিসিআর এর বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
মুগদা : মুগদা থানার উত্তর মানিকনগরে আনন্দধারা এলাকার একটি বাসায় একজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাই ওই বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।
শাহজাহানপুর : রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উত্তর শাহজাহানপুরের দীপশিখা রোডের চারতলা একটি বাড়িতে একজন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই বাড়িটি লকডাউন করে দিয়েছে পুলিশ।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগ :ডিএমপির উত্তরা বিভাগের ছয়টি থানার মধ্যে দুইটি থানায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। তবে চারটি থানায় কোনও রোগী এখনও শনাক্ত হয়নি। আক্রান্ত দুটি থানার চারটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
উত্তরা মডেল (পূর্ব) : উত্তরা মডেল থানা এলাকায় কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি। এলাকায় পুলিশ কড়া টহল রয়েছে। নাগরিকদের বারবার সতর্ক করা হচ্ছে।
উত্তরা পশ্চিম : উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর, ১৪ নম্বর ও ৭ নম্বর সেক্টরে তিনটি সড়ক লকডাউন করেছে পুলিশ। এসব এলাকায় তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বিমানবন্দর : বিমানবন্দর থানা এলাকায় কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি। এই থানা এলাকার হাজি ক্যাম্পে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন রয়েছে। তবে কোনও লকডাউনের ঘটনা নেই।
তুরাগ : তুরাগ থানা এলাকায় এখনও কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি। সবাইকে নিরাপদে রাখার জন্য স্থানীয় ও পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে।
উত্তরখান : উত্তরখান থানা এলাকায় কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি।
দক্ষিণখান : দক্ষিণখানে একজন করোনারোগী শনাক্ত হয়েছে। একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগ : ডিএমপির গুলশান বিভাগের ছয়টি থানার মধ্যে চারটি থানা এলাকায় করোনাভাইরাস প্রবেশ করেছে। বাকি দুইটি থানা এলাকায় এখনও রোগী শনাক্ত হয়নি। আক্রান্ত থানা এলাকায় আটটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
গুলশান : গুলশানে তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। গুলশান ১-এর ১৫ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি, গুলশান ২ এর একটি বাড়ি এবং শাহজাদপুরের একটি বাড়িতে রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাই বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়েছে।
ক্যান্টনমেন্ট : ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় কোনও করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী ও লকডাউন নেই।
বাড্ডা : বাড্ডা থানার উত্তর বাড্ডা এলাকার তিন বাড়িতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী মিলছে। এজন্য খানবাগ রোডের একটি বাড়ি, স্বাধীনতা সরণির একটি বাড়ি ও হাজীপাড়ার একটি বাড়ি লকডাউন করেছে পুলিশ।
খিলক্ষেত : খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ- ২ এর ১১ নম্বর রোড লকডাউন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর রোডটি লকডাউন করে দেয় পুলিশ।
বনানী : বনানী থানা এলাকায় কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি।
ভাটারা : ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল সংলগ্ন পাঁচতলা একটি ভবন লকডাউন করেছে পুলিশ। বাড়িটিতে বাইরে থেকে কাউকে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ওই বাড়ির একজন রোগী একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের থানা : ডিএমপির তেজগাঁও এলাকার ছয়টির থানার চারটিতেই করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। একটি থানা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী এখনও পাওয়া যায়নি। আক্রান্ত চার থানা এলাকার ৯ টি বাড়ি পুরোপুরি লকডাউন করে রাখা হয়েছে।
তেজগাঁও : তেজগাঁও মডেল থানা এলাকার শাহীনবাগের একটি বাড়িতে একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাই ওই বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল : তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় কোনও রোগী পাওয়া যায়নি।
হাতিরঝিল : হাতিরঝিল থানা এলাকার ইস্কাটনে একজন রোগী রয়েছে বলে আইইডিসিআর থেকে বলা হলেও তিনি করোনা আক্রান্ত নন বলে দাবি করেছেন।
মোহাম্মদপুর : মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডের একটি বাড়ি, তাজমহল রোডের একটি বাড়ি, কৃষি মার্কেট রোডের মুখে একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া বাবর রোডের একটি বাড়ি এবং বসিলার উত্তরমোড়া এলাকার একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এসব এলাকার সড়ক প্রথমে লকডাউন করা হলেও পরবর্তী সময়ে শুধু বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়েছে।
আদাবর : আদাবরের ১৭ নম্বর সড়ক লকডাউন করেছে আদাবর থানা পুলিশ। ওই সড়কের একটি বাড়িতে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আদাবরের সব সড়কেই চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করেছে পুলিশ।
শেরেবাংলা নগর : শেরেবাংলা নগর এলাকায় মোতাহার বস্তি লকডাউন করেছে পুলিশ। আইইডিসিআর-এর নির্দেশে বস্তিটি লকডাউন করা হয়েছে। এই বস্তির এক যুবক করোনাভাইরাস আক্রান্ত।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগ : মিরপুরের সাতটি থানার মধ্যে পাঁচটি থানা এলাকাতেই করোনাভাইরাস আক্রন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। লকডাউন করা হয়েছে নয়টি ভবন ও একটি আবাসিক এলাকা।
মিরপুর মডেল থানা : মিরপুর মডেল থানা এলাকায় তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরপর তিনটি বাড়ি লকডাউন করেছে পুলিশ। এগুলো হলো-পীরেরবাগে একটি বাড়ি, শাহ আলীবাগে একটি এবং মিরপুর ১০ নম্বর সেকশরের ৭ নম্বর সড়কের একটি বাসা।
পল্লবী : পল্লবী থানার (মিরপুর ১১) সেকশন ১১ বি-এর ১ নম্বর সড়কের তিনটি বাড়ি লকডাউন করেছে পুলিশ। ৪৬, ৪৮ ও ৫০ নম্বর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ৪৮ নম্বর ছয়তলা বাড়িটিতে একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী ছিলেন। রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বাড়িটির দুই পাশের বাড়িসহ লকডাউন করে পুলিশ।
কাফরুল : কাফরুল থানার মিরপুর ১৩ সেকশনের ১/১ রোডের ৪২ ও ৪৩ নম্বর বাসা লকডাউন করেছে পুলিশ। বর্তমানে ওই সড়ক পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে।
শাহ আলী : ডিএমপির শাহ আলী থানা এলাকার সি-ব্লকের ১১ নম্বর সড়কের একটি ছয়তলা বাড়ি লকডাউন করেছে পুলিশ।
দারুসসালাম : দারুসসালাম থানার উত্তর টোলার বাগ একটি আবাসিক এলাকা এখনও লকডাউন রয়েছে। এই এলাকায় দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
রূপনগর : রূপনগর থানা এলাকায় এখনও কোনও রোগী পাওয়া যায়নি।
ভাষানটেক : ভাষানটেক এলাকা অপরিচ্ছন্ন হলেও সেখানেও এখনও কোনও রোগী শনাক্ত হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর ১০ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৪২৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। এরমধ্যে ঢাকাতেই আক্রান্ত ২৩৩ জন। এখন পর্যন্ত সারাদেশে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।