পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে অধিকাংশ দেশের মানুষ ঘরবন্দি। এই পরিস্থিতিতে নারী নির্যাতন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। রবিবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে ওই বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। জাতিসংঘের বিবৃতিতে নির্যাতনের ফলে নারীদের বিভিন্ন ক্ষতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, কোভিড-১৯ এর লকডাউনের সময় অনেক নারীই তাদের নিজ বাসায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু সেখানে তাদের নিরাপদে থাকার কথা ছিল। তিনি জানান, কয়েকটি দেশে দ্বিগুণ হারে সহায়তার চাচ্ছেন নারীরা। তাদের সহায়তাকারীর অভাব দেখা দিয়েছে। নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয় যেসব কেন্দ্র সেগুলো হয় প‚র্ণ হয়ে গেছে না হয় বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে আমি সব সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, কোভিড-১৯ মোকাবেলা পরিকল্পনায় নারী সহিংসতা প্রতিরোধের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হোক। বিবৃতিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগে পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছিল বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নারী কোনো না কোনো সময় নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন। তবে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, এই ইস্যুটি উন্নত ও দরিদ্র অর্থনীতির দেশ উভয়কেই প্রভাবিত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক চতুর্থাংশ কলেজ ছাত্রী যৌন নির্যাতন বা দুর্ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন। অপরদিকে আফ্রিকার সাব সাহারান দেশগুলোতে ৬৫ শতাংশ নারী সরাসরি নির্যাতনের শিকার। বিবৃতিতে বলা হয়, লকডাউনের প্রথম সপ্তাহেই ভারতে নারী নির্যাতন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, তুরস্কে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়ার পর থেকে নারী-হত্যার হার বেড়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে অন্তত ৯০ হাজার লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার অভিযোগ এসেছে। অস্ট্রেলীয় সরকারের কাছে অনলাইনে সাহায্যপ্রার্থনার হার বেড়েছে ৭৫ শতাংশ, এক সপ্তাহে ফ্রান্সে ঘরোয়া নির্যাতন বেড়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।