পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজকে ‘ঋণের প্যাকেজ’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই প্যাকেজে ‘দিন আনে দিন খায়’ মানুষজনকে অবহেলা করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের, খেটে খাওয়া মানুষের, ইনফরমাল সেক্টারের কৃষকদের, তাদের কোনো কথা এখানে (প্রণোদনা প্যাকেজ) নেই। ৭২ হাজার কোটি টাকা যেটা দিয়েছে পুরোটাই ঋণ। এখানে অনুদান বলতে কিছু নেই। সব ঋণের প্যাকেজ। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের পর তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল রোববার বিকেলে উত্তরার বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাধারণ দিন আনে দিন খায় গরীব মানুষের জন্য আমরা সরকারকে ১৫ হাজার কোটি টাকা দেয়ার কথা বলেছিলাম। সুনির্দিষ্টভাবে বলেছিলাম এটা অনুদান দিতে হবে। আমরা বলেছি, ভাতা বাড়াতে, চিকিৎসক-নার্স, চিকিৎসাকর্মীদের প্রণোদনা দিতে হবে, স্বাস্থ্যখাতে প্রণোদনা বাড়াতে হবে। শুধুমাত্র ঋণ নয়। তাদেরকে অনুদান, ভাতা, বেতন বাড়িয়ে সহযোগিতা করতে হবে। যে বিষয়গুলো অত্যন্ত জরুরী, সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সেইভাবে কথা বলেননি। ‘দিন আনে দিন খায়’-এই শ্রেনীর মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। দুর্ভাগ্যজনক সেই সেক্টরের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে মধ্যে কোথাও, তার প্যাকেজের মধ্যে কোথাও সেই ধরনের কিছু আমরা দেখতে পাই নাই। রেমিট্যান্স যারা পাঠান তাদের কোনো কথা এই প্রণোদনা প্যাকেজে নেই। গার্মেন্টস খাতের প্রণোদনা শ্রমিকদের কাছে যাবে কিনা তা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট নয়।
স্বাস্থ্যখাতের বিষয়ে প্যাকেজে কোনো কথা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, হেলফ সেক্টরটা একেবারেই নেগলেটেড, কোনো কথাই বলা হয়নি এখানে। যেটা দরকার পরীক্ষা পরীক্ষা পরীক্ষা, ডব্লিউএইচও প্রধান বলছেন। অথচ বাংলাদেশে এখন পরীক্ষা নেই, পরীক্ষা নেই, পরীক্ষা নেই অবস্থা দাঁড়িয়ে গেছে। যেখানে যাবেন বলবে যে, এখানে হবে না। ভেন্টিলেটর কত আছে আপনারা জানেন। আরো বেশি সেটা তৈরি করার কোনো কথা এখানে (প্রণোদনা প্যাকেজে) নেই। সব চেয়ে বড় দুর্বলতা দেখুন। হেলথ ডিপার্টমেন্টের মধ্যে পারস্পরিক যে সমন্বয় থাকা দরকার সেটাও ঠিক নেই। ডিজি হেলখ এক কথা বলছেন, আইইডিসিআর ডিজি আরেক কথা বলছেন আর স্বাস্থ্য মন্ত্রী তো আরো ভীষণ কথা বলছেন। যেসব কথা শুনলে মনে হবে না দেশে কোনো ভাইরাস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। প্রশ্নগুলো এখানে হাউ উই লুকিং টু দি থিংকস। আপনি কি বুঝতে পারছেন যে, সারা পৃথিবী ভয়ংকর মহামারীর মধ্যে পড়েছে, আপনারা কী বুঝতে পারছেন যে, সারা পৃথিবী গ্রেট ডিপরেশনের দিকে যাচ্ছে। সেই বিষয়গুলো সরকারের যদি দায়িত্ববোধ না থাকে তাহলে এই রাষ্ট্র কিভাবে টিকে থাকবে এটা আমাদের বোধগম্য নয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতি ইংগিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা (করোনাভাইরাস) মানবসভ্যতার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জটা মোকাবিলা করার জন্য আমরা সবাই হাত বাড়িয়ে আছি, আমরা সবাই উদ্যোগী আছি। তারপরেও তারা বলছেন যে আমরা নাকী এমন এমন কথা বলছি যে, দায়িত্বজ্ঞানহীন-কান্ডজ্ঞানহীনের মতো কথা বলছি। আমরা তো ২৭ টা দফা দিয়েছি। তার বর্ণনা দিয়েছি। প্রত্যেকটা বিষয় যুক্তসঙ্গতভাবে বলেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
পূর্ণ লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, পরিপূর্ণ লকডাউন করা উচিত। দ্যাট ইজ দ্যা অনলি এনসার। যে ভয়াবহতা আসছে, এখনো রিয়েলাইজ করতে পারছে না তারা। ২৭ দিন হয়ে গেছে। অলরেডি কিন্তু গতকালের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এটা জ্যামিতিক হারে বাড়বেই।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।