Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনা রোধে থাকতে হবে আট মিটার দূরত্বে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২০, ৬:৫৫ পিএম | আপডেট : ৬:৫৭ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২০

করোনার থেকে বাঁচতে অনেকে দুই মিটার সামাজিক দূরত্ব রেখে চলছেন। হাঁচি ও মানুষের মুখ থেকে বের হওয়া জলীয়কণার মধ্যে থাকা করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে হলে দুই মিটার নয়; আট মিটার দূরে থাকতে হবে। কারণ হাঁচির সঙ্গে বের হওয়া জলীয়কণা আট মিটার দূরেও চলে যেতে পারে। এতে করোনায় সংক্রমিত হতে পারেন যে কেউ। এমনই তথ্য জানিয়েছে নতুন এক গবেষণা।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) এক নতুন গবেষণা বলছে, বর্তমানে একে অপরের থেকে দূরত্বের ব্যবধানের প্রায় চারগুণ বেশি হওয়া প্রয়োজন। এর মানে আমরে যে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলছি; তা বদলাতে হবে। আট মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।

এমআইটির নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁচি ও মানুষের মুখ থেকে বের হওয়া জলীয়কণার সঙ্গে করোনাভাইরাস ৩৩ ফুট থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত দূ্রে যেতে পারে প্রতি সেকেন্ডে। এটি বায়ুমণ্ডলের অভ্যন্তরে একটি মেঘের মতো অবস্থা তৈরি করে। যা একজন মানুষের কাছে থেকে অন্যজন মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে যেতে পারে।

গবেষণায় আরো দেখা যায়, এটি প্রায় ২৩ ফুট থেকে ২৭ ফুট (সাত মিটার থেকে আট মিটার) পর্যন্ত দূরে যেতে পারে। এটাও সতর্ক করা হয়েছে যে, করোনার সংক্রমণ দ্রুত প্রসার করে মানুষের মুখ থেকে বের হওয়া জলীয়কণা। আর এই জলীয়কণাগুলো কয়েক ঘণ্টা ধরে বাতাসে ভাসতে পারে। পরে মেঘের মতো বায়ু যে দিকে যায় সেদিকে যেতে পারে।

করোনাভাইরাস রুখতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (জামা) জার্নালকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন গবেষণাটির প্রধান লেখক। তিনি বলেন, জলীয়কণাগুলো করোনাভাইরাসকে অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারে। দূরত্বের পরিসরের ওপর ভিত্তি করে তা জানা গেছে। ট্রুবুলেন্ট পাফ ক্লাউড ডাইনামিক মডেলে বিচার করে তা দেখা গেছে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ