মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পুরো বিশ্বই এখন ‘লকডাউন’ কিন্তু তাতেও কমছে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব নৃত্য। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ২ হাজার ৩৮৪ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ।
এর মধ্যে ইতালি (৭৪৩ জন আর স্পেনেই (৬৮০ জন) মারা গেছে ১ হাজার ৪২৩ জন। যুক্তরাষ্ট্রেও বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। একদিনে সেখানে মারা গেছে ২২৫ জন। আর ফ্রান্সে এই সংখ্যা ২৪০ জন।
এই সময়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইতালিতে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৪৩ জন মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৮২০ জনে দাঁড়াল।
দেশজুড়ে লকডাউন থাকা সত্ত্বেও স্পেনে ২৪ ঘণ্টায় আরও মারা গেছে ৬৮০ জন। যেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৯৯১ জনে গিয়ে ঠেকেছে।দেশটিতে লকডাউন জারি করায় ৪ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ এখন গৃহবন্দি রয়েছেন।
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের সব ধরনের মদের বার, দোকান-পাট, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান অফিস আদালত। তবে ওষুধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীর দোকান ও সুপারশপ খোলা রয়েছে
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ে দেশটিতে ১১ হাজার ৮৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২২৫ জন।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালি, স্পেনের পরই ফ্রান্স করোনা ভাইরাসে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে করোনায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১০০ জনে।
ফ্রান্সের সরকারি কর্তৃপক্ষ নতুন করে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসাব দিয়ে বলেছে, একদিনে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ২৮ শতাংশ। এছাড়া গত ৩ দিনের তুলনায় দেশটিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অথচ দেশটি এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে লকডাউনে রয়েছে।
চীন থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। সেখানে ভাইরাসটি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেও অন্যান্য দেশে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা।
এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৫৬৮ জনসহ আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৪১৩ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৮ জন সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ১৭১ জন। এছাড়া চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪০ হাজার ২৪২ জন।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রেইয়সুস অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারগুলো এই বৈশ্বিক মহামারি ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
তিনি সরকারগুলোকে নিজ নিজ দেশের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এখন লকডাউন যথেষ্ট নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।