Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সখিপুরে মাদরাসা ও হিফজখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

সখিপুর(টাঙ্গাইল)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২০, ৭:১৪ পিএম

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত সোমবার দুপুর থেকে সারা দেশের সরকারি, বেসরকারি ও প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ ঘোষণা করলেও টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার ৭৩টি কওমী, নুরানী ও হিফজখানা যথারীতি খোলা রেখে চলছিল। অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সখিপুর পৌরসদরে অবস্থিত দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসায় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হা-মীম তাবাসসুম প্রভার নেতৃত্বে আদালত ওই মাদরাসাটি খোলা থাকার সত্যতা পান। পরে উপজেলা কওমী, নুরানী ও হিফজখানা মাদরাসা সমিতির সভাপতি ও সখিপুর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মওলানা সাইফুল্লাহ বেলালী বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার মধ্যে উপজেলার ৭৩টি মাদরাসা বন্ধ করে দেবেন বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে মুচলেকা দেন। সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।সখিপুর উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার মাকসুদুল হক জানান, ২০১৯ সালের মে মাসের জরিপ অনুয়ায়ী উপজেলার সখিপুর পৌরসভায় পনেরটি, কাকড়াজান ইউনিয়নে তেরটি, কালিয়া ইউনিয়নে দশটি, বহেড়াতৈল ইউনিয়নে সাতটি, গজারিয়া ইউনিয়নে পাঁচটি, দাড়িয়াপুর ইউনিয়নে পাঁচটি, বহুরিয়া ইউনিয়নে ছয়টি ও যাদবপুর ইউনিয়নে সাতটিসহ ৭৩টি কওমী, নুরানী ও হিফজখানা রয়েছে। গত সোমবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সারা দেশের সরকারি, বেসরকারি ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান, সব মাদরাসা করোনাভাইরাস যাতে সংক্রমিত না হয়- এ কারণে আগামী ৩১মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেন। ঘোষণার তিনদিন অতিবাহিত হলেও সখিপুরের ৭৩টি কওমী মাদরাসা সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে স্বাভাবিকভাবে ক্লাস চালান ও ছাত্রাবাস খোলা রাখেন।মাকসুদুল হক আরও জানান, তিনি দুইদিন ধরে বিভিন্ন কওমী মাদরাসায় গিয়ে সরকারি বিধি মানার জন্য অনুরোধ করলেও মাদরাসার প্রধানরা কোনো তোয়াক্কা করেননি। তাঁরা দাবি করেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা সারাদিন মাদরাসাতেই অবস্থান করে কোয়ারেন্টিনেই রয়েছে। শিক্ষার্থীরা মাদরাসা ছেড়ে কোথাও বের হচ্ছেন না। দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসছেন। উপজেলা কওমী, নুরানী ও হিফজখানা মাদরাসা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুল লতিফ বলেন, প্রতিটি কওমী, নুরানী ও হিফজখানায় দুই ধরনের শিক্ষার্থী রয়েছে। কিছু আবাসিক ও কিছু অনাবাসিক। অনাবাসিক শিক্ষার্থীর ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাদরাসা কোয়ারেন্টিনে রেখে পড়াশোনা করানো হচ্ছিল। প্রশাসন যেহেতু এটাও মানছেন না তাই আজ বিকেল থেকে সব মাদরাসার আবাসিক ব্যবস্থাও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সখিপুর পৌরসদরে অবস্থিত দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম কওমী মাদরাসার প্রধান ও উপজেলা কওমী, নুরানী ও হিফজখানা মাদরাসা সমিতির সভাপতি সাইফুল্লাহ বেলালী বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে মুচলেকায় সই দেওয়া হয়েছে। বেলা চারটার মধ্যে উপজেলা ৭৩টি মাদ্রাসা সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বন্ধ করে দেওয়া হবে। সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, সখিপুর পৌরসদরে অবস্থিত দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম কওমী মাদরাসায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা খোলা পায়। তাঁর মাদরাসাসহ উপজেলার সব কওমী মাদ্রাসা বেলা চারটার মধ্যে বন্ধ করবেন এই মর্মে কওমী মাদরাসা সমিতির সভাপতি মুচলেকা দেন। এরপরও নির্দেশনা অমান্য করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভ্রাম্যমান আদালত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ