পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গরু নিয়ে রাজনীতি করলেও ভারত থেকে নিয়মিত গরুর গোশত আসছে বাংলাদেশে। ওই সব গোশতের মান কেমন তা নিয়ে কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা হয় না। ফলে খাওয়ার অযোগ্য গোশত বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। গতকাল ভারত থেকে আনা ৫০ মন গোশত জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। জব্দ করা এই গোশত নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। মহিষের দেখিয়ে আনা এই গোশত অন্য কোনো প্রাণীর বলে ধারনা র্যাবের। ক্ষতিকর ছত্রাক পড়ায় মাংসগুলো ভক্ষণযোগ্য কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। র্যাব জানায়, গত বুধবার রাতে গাবতলীর মিথিলা পরিবহন নামের একটি বাসে করে রংপুরে পাঠানোর সময় ১৪৮ কেজি ভারতীয় গোশত জব্দ করা হয়। পরে ওই স‚ত্র ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে একটি গোডাউন থেকে আরো ১ হাজার ৮৫০ কেজি গোশত জব্দ করা হয়। অসাধু একটি চক্র খাওয়ার অযোগ্য গোশত বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সুপারশপে এবং রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরে প্রেরণ করে ভোক্তাদের ঠকিয়ে আসছিল। র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান।
মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে ভারত থেকে আমদানি করা মহিষের গোশত রংপুরে পাঠানো হচ্ছে। খাওয়ার অযোগ্য এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছে এই গোশত। তিনি বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালে প্রথমে অভিযান চালিয়ে ১৪৮ কেজি গোশত জব্দ করা হয়। জব্দ হওয়া গোশতের প্যাকেটের গায়ে ‘বাফেলো’ লেখা থাকলেও গোশত নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। পরে মিরপুর-১১ নম্বরের তালাব বিহারী পল্লী গোশতের গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। সেখানে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ১ হাজার ৮৫০ কেজি গোশত জব্দ করা হয়।
র্যাবের ভাষ্য, গোশতগুলো যেভাবে রাখা হয়েছিল তাতে গুণগত মান সম্প‚র্ণ নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া রান্নার পর এই গোশতের কারণে শরীরে নানা রোগবালাই দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ফুড পয়জনিং, অ্যানথ্রাক্স, ক্যান্সার, রেবিসসহ মারাত্মক রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। চক্রটি খাবার অযোগ্য এই গোশত বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সুপার শপ ছাড়াও জেলা শহরগুলোতে পাঠাতো।
র্যাবের এক কর্মকর্তা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি এই ব্যবসা করে আসছিল। তারা ভারতের আলানা নামক একটি কোম্পানি থেকে গোশত আমদানি করে থাকে। এই গোশতের গুণগতমান বিষয়ে কোন সার্টিফিকেট ছিল না। এছাড়া আমদানি ইনভয়েসের কোনো ভাউচার কিংবা রেজিস্টার পাওয়া যায়নি। অভিযানে গ্রেপ্তার দুইজনকে চার লাখ টাকা জরিমানা এবং তিনমাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।