পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিদেশ থেকে গবাদি পশুর গোশত আমাদনি করা হলে দেশের চামড়া শিল্প, খামারি এবং গোশত ব্যবসায়ীরা ধ্বংস হয়ে যাবে বলে দাবি করেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন গোশত ব্যবসায়ী সমিতি।
গতকাল রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়েছে। ‘গরুর হাটের চাঁদাবাজি, ভারতীয় গোশত আমদানি বন্ধ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার অপসারন’ এ তিনটি দাবীতে গোশত ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করে। সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রবিউল আলম সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
রবিউল আলম বলেন, ‘গত ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত সহ কয়েকটি দেশ থেকে হিমায়িত গোশত আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু ভোক্তারে কেউ কম দামে গোশত কিনতে পেরেছে কিনা আমরা তা দেখিনাই। ভারতে যে গোশত ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তাও এখানে এনে আমাদের মত একই দামেই বিক্রি হচ্ছে। তাই এটার কোন সুফল পাওয়া যাবে না। গোশত আমদানি করা হলে দেশের চামড়া শিল্প, খামাড়ি এবং গোশত ব্যবসায়ীরা ধ্বংস হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনায় বসুক। গরুর হাটের চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা, ভারতীয় গোশত আমদানি বন্ধ করা এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে হবে। এই কর্মকর্তার টাকার জোরে এমন ক্ষমতাশীল হয়ে উঠেছে যে সরকারের সিদ্ধান্তকে পর্যন্ত তোয়াক্কা করছে না। ১০০ টাকার খাজনা সে আদায় করছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা আদায় করছে। ছুরি ঠেকিয়ে এই টাকাটা আদায় করছে। কিন্তু আমরা এর কোন বিচার পাচ্ছি না।’
এই চাঁদাবাজি বন্ধ হলে সারাদেশে ৪৫০ টাকার মধ্যে গোশত বিক্রি করা সম্ভব হবে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। এর পাশাপাশি মায়নমার, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা থেকে বৈধ পথে গরু আমদানির সুযোগ দিলে গোশতের দাম ২৫০ টাকার বেশি হবে না বলেও দাবি করেন তারা। রবিউল আলম বলেন, ‘এটা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে আমরা অবৈধভাবেই গরু আমদানি করছি। কিন্ত সেটা একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসে নিলাম হচ্ছে। যেখানে সরকার প্রতি গরুতে ৫২০ টাকা করে পাচ্ছে। কিন্তু সীমান্তে প্রতিটি গরুর জন্য ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা চাদা দিতে হয়। সুতরাং বৈধ পথে গরু আমদানি হোক এটা আমরা চাই।’
সম্প্রতি ভারত থেকে গরুর গোশত আমদানির জন্য কিছু ব্যবসায়ীর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গোশত ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার দেশে গবাদি পশু পালনে ২০০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। এতে খামারিরা উৎসাহিত হচ্ছে। এ সময়ে দেশে পশুর গোশত আমদানি করা হলে, এসব খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনকি চামড়া, হাড়, শিং, নাড়ী-ভুড়ি সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে ঢাকায় প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।