পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বিদেশ থেকে গরুর গোশত আমদানি হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ, উৎপাদনকারী, খামারি ও শিল্পসংশ্লিষ্টরা। তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে হিমায়িত গরুর গোশত আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশীয় মাংস উৎপাদনকারীরা। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আহকাব) সভাপতি ডা. এম নজরুল ইসলাম, প্রাক্তন সভাপতি মোমিন উদ দৌলা, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের (বিভিএ) মহাসচিব ড. মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মাসের (বিডিএফএ) মহাসচিব শাহ ইমরান, বেঙ্গল মিটের হেড অব কমার্শিয়াল অ্যান্ড এক্সপোর্ট সাইদুল হক ভূইয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরীফ আহমেদ চৌধুরী।
এক পরিসখ্যান তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জনপ্রতি দৈনিক ১২০ গ্রাম গোশতের চাহিদা হিসেবে বার্ষিক মোট চাহিদা ৭২ দশমিক ৯৭ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি থেকে গোশত উৎপাদিত হয়েছে ৭৫ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ২ দশমিক ১৭ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত হয়েছে। এর মধ্যে গরু-ছাগলের গোশত উৎপাদনের ৫৫ শতাংশ। তারা বলেন, দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিদেশ থেকে হিমায়িত গরুর গোশত আমদানি-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা বর্তমান সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দেশীয় খামারি, উৎপাদনকারী ও সংশ্লিষ্টরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধধু তাই নয় পরিবেশ ও কৃষিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।