বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের কুঠিরহাটের কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে ছোট ফেনী নদী। গত কয়েকমাস ধরে এই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দুই পাড়ে বিশাল ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী ।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, ১নং চরমজলিশপুর ইউনিয়নের কুঠিরহাট বিষøপুর গ্রামে কালিবাড়ি মন্দিরের পশ্চিম পাশে নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে লম্বা পাইপ লাগিয়ে বালু উত্তোলন করে স্কুলের মাঠ ভরাট করছে। আরেকদিকে চান্দলা শীল বাড়ীর পশ্চিম পাশে নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে লম্বা পাইপ দিয়ে বালু তুলে নাপিত বাড়ী থেকে মাস্টারের দোকান পর্যন্ত জলিল ভূঁইয়া নামের নতুন কাঁচা রাস্তায় দিনরাত বালু দেওয়া হচ্ছে। বালু তোলার কারণে নদীর পাড়ের মাটি নিচের দিকে দেবে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এলাকায় বসবাসরত মানুষের ভিটে জমি ও বাড়িঘর ভাঙনের কবলে পড়ছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত তিন মাস আগে কালিবাড়ী মন্দির সংলগ্ন নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন জব্দ ও জরিমানা করা হয়। কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর ফের আবার নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চিুক কয়েকজন জানান, ওই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল মাস্টারের ছেলে পার্থ সারথী কর ও ইউপি সদস্য মাহবুবুল আলম চৌধুরী রিয়াদসহ একটি চক্র নদী থেকে বালু উত্তোলন করে এলাকায় ও বাহিরে বিক্রি করছে। বালু ব্যবসা করে এরা এক একজন কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছেন। এদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এসব বিষয়ে কথা হয় ইউপি সদস্য রিয়াদ ও পার্থ সারথী করের সাথে। তারা জানান, নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ফেনী জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফেনী-৩ আসনের এমপি ও সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি আছে।
কথা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেবের সাথে। তিনি জানান কালিবাড়ী মন্দির সংলগ্ন নদী থেকে বালু তোলার জন্য গত তিন-চার মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে অনাপত্তি পত্র নিয়েছেন তারা। শীলবাড়ীর পাশে বালু তুলছেন কিনা তিনি খোঁজ নেবেন।
এ বিষয়ে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহীর উদ্দিন জানান, ছোট ফেনী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। এর আগেও ওই জায়গায় বাধা দেওয়া হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।