Inqilab Logo

সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সরিষাবাড়িতে মূর্তি সাদৃশ্য ডাস্টবিনের ডিজাইন বদল

মেয়র মুছে ফেলতে বাধ্য হলেন নিজের নাম

সরিষাবাড়ী(জামালপুর)সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০২০, ৭:১০ পিএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে হনুমানের মূর্তি সাদৃশ্য ‘মাঙ্কি ডাস্টবিন’ স্থাপনের কয়েকদিনের মাথায় গণমাধ্যমের টানা সংবাদ ও পৌরবাসীর প্রতিবাদের মুখে অবশেষে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হলেন মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন।
ডাস্টবিনগুলোর মাথায় ডিজাইন করা মূর্তির মুখ ঢেকে সাধারণ আকৃতি দেয়া হচ্ছে। সরকারি টাকায় ডাস্টবিনগুলো বানানো হলেও নীতিমালা অমান্য করে প্রতিটির গায়ে ‘সৌজন্যে মেয়র রোকন’ লেখা হয়েছিল। তীব্র সমালোচনার মুখে সে লেখাগুলোও মুছে দেয়া হচ্ছে।

বুধবার দুপুরে পৌরসভার শিমলা আমতলা মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকনের কথিত ‘গানম্যান’ আবু তাহের তনয়ের নেতৃত্বে পৌরসভার একজন কর্মচারী ও কয়েকজন শ্রমিক সিমেন্ট-বালি দিয়ে ‘মাঙ্কি ডাস্টবিন’টির মূর্তি সাদৃশ্য মুখ ঢেকে দিচ্ছেন। মূর্তির ডিজাইন নষ্ট করে সেটা সাধারণ আকৃতি দেয়া হচ্ছে। সাদারঙের ডাস্টবিনের গায়ে লালরঙে ‘সৌঃ মেয়র রোকন’ লেখাটিও ঘসে ঘসে তুলে ফেলা হয়। পর্যায়ক্রমে সবগুলো মূর্তির ডিজাইন পরিবর্তন করে নতুনভাবে সাজানো হবে বলে পৌরসভা সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, মেয়র ব্যক্তিগত সুবিধা লাভের আশায় সাধারণ কোনো ডাস্টবিন স্থাপন না করে পৌরবাসীর অজানা মূল্যমানের ডাস্টবিন বানানো হয়। সমালোচনার মুখে সেগুলোর ডিজাইন এখন পরিবর্তন করতে পুণরায় বাড়তি টাকা অপচয় করা হচ্ছে। বিগত চার বছরের মতো মেয়াদের শেষ সময়েও মেয়রের এরকম খামখেয়ালিপনায় বেড়েই চলছে সমালোচনা।

পৌরসভা সূত্র জানায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় পৌরসভায় ৫০টি ‘মাঙ্কি ডাস্টবিন’ বসানোর পরিকল্পনা নেন মেয়র। ৬ মার্চ হনুমানের মূর্তি সাদৃশ্য ১০টি
ডাস্টবিন স্থাপনের মাধ্যমে এ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। প্রতিটি ডাস্টবিন বাবদ ৩৯ হাজার টাকা করে মোট ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ডাস্টবিনগুলো উন্নত শহর বা শপিংমলের জন্য প্রযোজ্য হলেও সরিষাবাড়ী পৌরসভার মতো খানাখন্দ মফস্বল শহরে এসব স্থাপন তামাশা ও সরকারি টাকা জলে দেয়া বলে নাগরিকদের অভিযোগ। মূর্তি সাদৃশ্য ডাস্টবিন অপসারণের দাবিতে সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ‘সরিষাবাড়ী পৌরসভার উলামা ও মুসলিম সমাজ’র ব্যানারে শতাধিক আলেম মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পৌরসভায় স্মারকলিপি দেন।

এ ব্যাপারে পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মূর্তি অপসারণের দাবিতে আলেমরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁদের কথা দেয়া হয়েছিল যে, এক সপ্তাহের মধ্যে এগুলো অপসারণ করা হবে। মেয়রের নির্দেশে তাই বাস্তবায়ন হচ্ছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিজাইন

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ