Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাঙ্কি ডাস্টবিনের বিরুদ্ধে আলেমদের বিক্ষোভ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে হনুমানের মূর্তি সাদৃশ্য ‘মাঙ্কি ডাস্টবিন’ স্থাপনের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে পৌরবাসী। গত সোমবার দুপুরে ‘সরিষাবাড়ী পৌরসভার উলামা ও মুসলিম সমাজ’র ব্যানারে শতাধিক আলেম মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা মূর্তিগুলো অপসারণের দাবিতে পৌরসভায় স্মারকলিপি দেন।
উলামা ও মুসলিম সমাজ’র আহ্বায়ক মাওলানা নাজমুল হুদা ফয়জী স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ‘আপনি বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নের নামে মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপন করে আসছেন। যা ইসলাম ও মুসলিম সমাজের জন্য দুঃখজনক, এহেন পরিস্থিতিতে সরিষাবাড়ী পৌরসভার সর্বস্তরের উলামায়ে কেরাম ও মুসলিম জনসাধারণ ফুঁসে উঠছে।’ স্মারকলিপিতে তাঁরা মূর্তিগুলো অপসারণ করে ইসলামী ভাস্কর্য স্থাপনের আহ্বান জানান।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সরিষাবাড়ী হাফেজিয়া মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু সুফিয়ান, জামে মদিনা দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আমিনুল ইসলাম, শিমলাপল্লী জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা আবু বকর প্রমুখ।
মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন এ সময় পৌরসভায় উপস্থিত না থাকায় প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে মূর্তিগুলো অপসারণের দাবিটি বিবেচনার আশ্বাস দিলে আলেমরা পৌরসভা ত্যাগ করেন।
পৌরসভা সূত্র জানায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় পৌরসভায় ৫০টি ‘মাঙ্কি ডাস্টবিন’ বসানোর পরিকল্পনা নেন মেয়র। ৬ মার্চ হনুমানের মূর্তি সাদৃশ্য ১০টি ডাস্টবিন স্থাপনের মাধ্যমে এ প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। প্রতিটি ডাস্টবিন বাবদ ৩৯ হাজার টাকা করে মোট ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ডাস্টবিনগুলো সরকারি টাকায় বসানো হলেও নীতিমালা অমান্য করে প্রতিটির গায়ে লেখা হয়েছে ‘সৌজন্যে মেয়র রোকন’। নাগরিকদের মতে, যেসব ডাস্টবিন বসানো হয়েছে তা উন্নত শহর বা শপিংমলের জন্য প্রযোজ্য। সরিষাবাড়ী পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তাঘাটই খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টিতে যেখানে হাটুপানি জমে। সেই মফস্বল শহরে এসব ডাস্টবিন নাগরিকদের সাথে তামাশা ও সরকারি টাকা জলে দেয়া।
এ ব্যাপারে পৌর প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মূর্তি অপসারণের দাবিতে আলেমরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। দাবি অনুযায়ী আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এগুলো অপসারণ করে পৌরসভা কার্যালয়ে জমা রাখা হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিক্ষোভ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ