বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-চসিক নির্বাচন স্থগিত করার ইঙ্গিত দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ভোটের বিষয়ে এখনও বিবেচনা করা হয়নি, এটা নিয়েও আমরা চিন্তা করব। পরিস্থিতি আরেকটু দেখি। আমরা আরও দুয়েকদিন দেখে তখন সবগুলো নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। মঙ্গলবার ঢাকায় নির্বাচন ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে সিইসির এমন বক্তব্যে চট্টগ্রামবাসী সন্তুষ্ট। নভেল করোনাভাইরাস আতঙ্ক দেশজুড়ে। সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জনসমাগম এড়িয়ে চলছে সাধারণ মানুষ। বেসরকারি উদ্যোগে চিটাগাং চেম্বার আয়োজিত দেশের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাও স্থগিত করা হয়েছে। তবে চসিক নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় চট্টগ্রাম নগরবাসী। মহানগরীতে জনসংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। পাঁচটি সংসদীয় আসনের সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভোটার প্রায় ২০ লাখ। করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেই কোন আগ্রহ।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চসিক নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্পূর্ণ এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। গত শনিবার সিইসি মহোদয় চট্টগ্রামে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং প্রার্থীদের সাথে পৃথক সভা করে গেছেন। তিনি বলেছেন নির্বাচনের তারিখ পেছাবে না। আমরা মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, দেখা যাক।
গত ১৪ মার্চ চট্টগ্রামে মতবিনিময় সভায় চসিক নির্বাচন পেছানোর ব্যাপারে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত না জানালেও যদি পরিস্থিতি দুর্যোগময় হয় তাহলে নির্বাচন পেছানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। সে ধারাবাহিকতায় আরও এক ধাপ এগিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস কতখানি প্রভাব ফেলবে, সেটা আমরা বিশ্লেষণ করতে চাচ্ছি। তবুও আমরা আরও একটা-দুইটা দিন দেখব। তখন সবগুলো নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। এক প্রশ্নের জবাবে কে এম নূরুল হুদা বলেন, যদি পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন অবশ্যই আমরা বিবেচনা করব।
ভোটের প্রচারে সতর্কতার কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি তো শেষের দিকে। প্রার্থীরা বলেছেন, তারা সাবধানে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন। কিন্তু নির্বাচন যেন বন্ধ না হয়ে যায়। তাদের অনুরোধও আছে। আমরা বলেছি, তারা যেন জনসমাগমের বিষয়টা এড়িয়ে চলেন। যেন বিকল্পভাবে তারা ভোটারদের কাছে ভোট চান জনসমাগম না করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।