সিলেট এককালে জাতীয় পার্টির দূর্গ ছিল। পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও বলতেন দ্বিতীয় বাড়ি তার সিলেটে। এখন জাপার সেই দিন, সেই কর্মী-সমর্থক নেই। দলের জোশ বা স্রোত না থাকলেও আছে শুধু নেতাদের তালিকা। এদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দলাদলি, বিভক্তি থাকলেও দলীয় কার্যক্রম নেই বললেই চলে। তবে দলের আসন ভাগাভাগির চাকায় জাপা বদৌলতে ভাগ্য খুলেছে এমপি হওয়াদের।
এর মধ্যে কেন্দ্র থেকে সদ্য ঘোষিত সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির ১৫ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিকে অবৈধ ও গঠনতন্ত্র বিরোধী উল্লেখ করে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।
স¤প্রতি জাতীয় পার্টির ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান করে নিয়েছেন সিলেট জেলার ১৩ নেতা। এর আগে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সিলেটের এত সংখ্যক নেতার ঠাঁই হয়নি কখনো। এত পদ পাওয়ার পরও দলের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ। অভিযোগ উঠছে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের অবমূল্যায়নের। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সিলেট জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এটি ইউ তাজ রহমানকে আহবায়ক ও উছমান আলীকে সদস্য সচিব করে জেলা শাখা এবং ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়াকে আহবায়ক ও অ্যাডভোকেট আবদুল হাই কাইয়ূমকে সদস্য সচিব করে মহানগর জাতীয় পার্টির কমিটি গঠন করা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সম্মেলন করে কোনো কমিটি করতে পারেনি দুই আহবায়ক কমিটি। এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে আজ শনিবার জেলা জাতীয় পার্টির যে সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল তা স্থগিত বলেও জানানো হয়।