গাজীপুরের শ্রীপুরে এক বিধবার সাথে অনৈতিক কাজের সময় স্থানীয় জনতা আ. লীগ নেতা আ. জলিল মৃধাকে অবরুদ্ধ করে। খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। গতকাল দুপুরে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বাপ্তা গ্রামে জনৈক আনিস মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আব্দুল জলিল মৃধা (৪২) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বাপ্তা গ্রামের মৃত শাহীদ মৃধার ছেলে। তিনি কাওরাইদ ইউনিয়নের বাপ্তা গ্রাম আ. লীগের সভাপতি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাওরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাড. আজিজুল হক বলেন, ওই নারীর সাথে জলিলের পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। তারা এর আগে গোপনে বিয়ে করেছে। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে তাদের ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। পরে দু’পক্ষের সাথে আলোচনা করে চার লাখ টাকা কাবিন দিয়ে ফের বিয়ে পড়ানো হয়। ভুক্তভোগী বিধবা নারী বলেন, আমাকে বাড়ী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। আমার সাথে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে।
স্থানীয়রা জানান, জলিল দীর্ঘদিন ধরে ওই বিধবা নারীর সাথে গোপনে পরকিয়া করে আসছে। বিভিন্ন সময় তারা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতো। অভিযুক্ত আব্দুল জলিল মৃধা অনৈতিক কাজের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি গত সেপ্টেম্বর মাসে তাকে গোপনে বিয়ে করছি। তবে তাকে বাড়ি তুলে নেইনি।
কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসেম বলেন, আব্দুল জলিল ইউনিয়নের বাপ্তা গ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি। তবে অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য তালাবদ্ধ করে রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করেনি। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে অবহিত করেনি। অভিযোগ পেলে আইগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।