মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা শুধু মানুষের ক্ষতিই করছে না, অবলা প্রাণী বানরের পেটেও লাথি পড়েছ। একটি মাত্র কলার জন্য রাস্তার মাঝে লড়াই করছে একপাল বানর। দু›পক্ষ মিলিয়ে সংখ্যায় শ খানেক তো হবেই! রাস্তার দু›দিক থেকে ধেয়ে আসছে একের পর এক বানর। স¤প্রতি থাইল্যান্ডের রাস্তায় নজরে এসেছে এমনই এক মর্মান্তিক দৃশ্য। বানরদের কলা নিয়ে এমন মারামারির কারণে স্থানীয়রা যে যেদিকে পেরেছেন ছুটে পালিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, সাধারণত পর্যটকরা এলে এই বানরের দল পেট পুরেই খেতে পায়। রসালো তরমুজ, টমেটো, এটা ওটা জুটেই যায়। তখন থাকে না কোনও ঝামেলা। কিন্তু করোনার কারণে এখন পর্যটক নেই। ফলে খাবারের রসদে টান পড়েছে এই বানরদের। আর তাই পেটের জ্বালা মেটাতে মাত্র একটা কলার জন্য এভাবে মরণপন লড়াইয়ে নেমেছে শত শত বানর। থাইল্যান্ডের লোবপুরি সাধারণত সারাবছরই জমজমাট থাকে। বছরজুড়ে আনাগোনা থাকে পর্যটকদের। কিন্তু এবছর করোনার ভয়ে পর্যটক প্রায় আসছেনই না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যে দু'পক্ষ বানর কলার ভাগ নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল তাদের মধ্যে একদল হল শহুরে। আরেক দল থাকে মন্দিরের আশেপাশে। দু’দলই একে অন্যের চোখের বিষ। মন্দির চত্বরে থাকার সুবাদে সেই পক্ষের বানরদের উদরপূর্তি হয় একটু ভালোভাবেই। উল্টোদিকে শহুরে বানরদের কেবল পর্যটকদের মুখাপেক্ষী হয়েই থাকতে হয়। ডেইলি মেইল আনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, খাবারের খোঁজে এগিয়ে চলেছিল একটি বানর। একটু এগোতেই একটা কলা খুঁজে পায় সে। খাবার তুলে হাতে নেওয়া মাত্রই ঘনিয়ে আসে বিপদ। একেবারে রে রে করে তেড়ে আসে বানরের দল। কলাটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় দ্রুততার সঙ্গে একপাল বানর তাড়া করে খাবার কুড়িয়ে নেওয়া বানরটিকে। রাস্তার এপার থেকে ওপার পর্যন্ত দৌঁড় লাগায় বানরের পাল। তবু লড়াই যেন থামতেই চায় না। বানরের পালের এমন রণমূর্তি দেখে হতবাক হয়ে যান স্থানীয় দোকানদাররাও। পরিস্থিতি বুঝে ধাতস্থ হতে বেশ খানিকক্ষণ সময় লেগেছে তাঁদের। থাইল্যান্ডে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ জন। মৃত্যুও হয়েছে একজনের। সমস্ত রকম সতর্কতা অবলম্বনের চেষ্টায় রয়েছেন থাইল্যান্ডের সাধারণ মানুষ। কিন্তু কথায় বলে খিদে বড় বালাই। আর বানরদের পক্ষে বোধহয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বোঝাও সম্ভব নয়। তাই পেটের দায়েই খাবার খুঁজতে গিয়ে এমন সাংঘাতিক লড়াইয়ে নেমেছে বানরের পাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।