বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে নগরীর রামপুর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুর সবুর লিটন এবং বিদ্রোহী এস এম এরশাদউল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে নৌকার মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী ক্যাম্প। বুধবার মধ্যরাতে নগরীর হালিশহর থানার ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের ঈদগাঁ বড় পুকুর পাড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে আহতরা হলেন- লিটনের সমর্থক ফারুক (২২) ও মুরাদ (২০) এবং এরশাদউল্লাহর সমর্থক সাইফুল (২৮) ও সোবহান (২৭)। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুকুল হক বলেন, পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ সময় চারজন আহত হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। রাতেই ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, ঈদগাঁ বড়পুকুর পাড় এলাকায় পোস্টার লাগানো নিয়ে প্রথমে লিটন ও এরশাদউল্লাহর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও পরে মারামারি হয়। এ সময় নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়। ক্যাম্পে রাখা চেয়ার, টেবিল এলোমেলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সেখান থেকে তিনজনকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে লিটনের সমর্থকরা এরশাদউল্লাহর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে।
আব্দুস সবুর লিটন মরহুম মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আর এরশাদউল্লাহ চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর, ডবলমুরিং) আসনের সংসদ সদস্য আফছারুল আমিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত হয়ে ২০১৫ সালে প্রথমবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।