দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানব জীবনের সবক্ষেত্রেই আছে নবীর আদর্শ
বার্ষিক মাহফিলে ছারছীনার পীর ছাহেব
ছারছীনা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম
আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ থেকে আজ আমরা বহু দূরে। অথচ রাসূলুল্লাহ (স.) হলেন উম্মতের একমাত্র আদর্শ। যে আদর্শ ধারণ করে সাধারণ মানুষ হয় সর্বোৎকৃষ্ট মানব। যে আদর্শ চর্চার যুগ হয় ইতিহাসের সোনালী যুগ। আর সত্যিকারের মানুষ হওয়ার জন্য এই আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। মানব জীবনের সবক্ষেত্রেই আছে নবীর আদর্শ। প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ থেকে নিয়ে সকল গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনেও রয়েছে তার আদর্শ। যারা এ আদর্শ ধারণ করবে, নিজের জীবনে ও কাজে-কর্মে তা বাস্তবায়ন করবে, তারাই হবে আদর্শবান, তারাই হবে সোনার মানুষ। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তারা হবে আদর্শ পূর্বসূরী।
রাসূলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই বনি ইসরাইলগণ বাহাত্তরটি দলে বিভক্ত হয়েছিল আর আমার উম্মত বিভক্ত হবে তেহাত্তরটি দলে। তাদের একটি ছাড়া সবগুলো দলই হবে জাহান্নামি’। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (স.)! সে দল কোনটি? তিনি ইরশাদ করলেন, ‘যার ওপর আমি ও আমার সাহাবিরা প্রতিষ্ঠিত তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত’। অতএব আমাদের উচিত জীবনের সর্বক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ অনুসরণ করা।
গতকাল ছারছীনা দরবার শরীফের ১৩০তম বার্ষিক মাহফিলের প্রথমদিন হযরত পীর ছাহেব আগত লাখো লাখো মুসল্লিদের উদ্দেশে এ কথা বলেন। আজ তিন দিনব্যাপী মাহফিলের দ্বিতীয় দিন। আগামীকাল বাদ জুমা হযরত পীর ছাহেব দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন। ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে আগত লাখো লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ছারছীনার ময়দান। মাহফিলের ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের মাহফিল স্মরণকালের বৃহত্তম মাহফিলে পরিণত হবে।
মাহফিলের প্রথম দিন ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর ওপর আলোচনা করেন হযরত পীর ছাহেবের ছোট ছাহেবজাদা আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা কাজী মফিজ উদ্দীন, মাওলানা আ.জ.ম. অহিদুল আলম, মাওলানা আ.জ.ম. ওবায়দুল্লাহ প্রমুখ।
এছাড়াও মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা মো. রুহুল আমিন, সোনাকান্দার পীর ছাহেব আলহাজ মাওলানা মো. মাহমুদুর রহমান, মরহুম পীর ছাহেবের সফরসঙ্গী আলহাজ মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মৌলভী মো. ইসমাঈল মিঞা।
