মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চলতি সপ্তাহে ইতালিতে করোনার মহামারী আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে শত শত রোগীকে।
আক্রান্ত রোগীর প্রায় ৯ শতাংশই আইসিইউতে। এসব রোগীকে বাঁচাতে দিনরাত এক করে চিকিৎসা দিয়ে চলেছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। শত চেষ্টাতেও থামছে না মৃত্যুর মিছিল।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের লম্বার্ডি এলাকার কয়েকটি হাসপাতালের ভয়াবহ কিছু ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের লম্বা মেঝেজুড়ে সারি সারি শয্যায় শোয়ানো অসংখ্য মানুষ।
প্রতিটি শয্যার পাশে ভারি ভারি অসংখ্য চিকিৎসা যন্ত্রপাতি। বুকে বসানো পেসমেকার, হাতে স্যালাইনের নল আর মুখে অক্সিজেনের পাইপ। হাতে গøাভস আর হাজমাত স্যুটে পুরো শরীর ঢেকে চিকিৎসা দিচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা। খবর দ্য সানের।
ইতালিতে করোনার পরিস্থিতির সবচেয়ে ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে উত্তররাঞ্চলের লম্বার্ডি এলাকায়। প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ বাসিন্দার শহরটির পুরোটাই কুয়ারেন্টিন করে ফেলা হয়েছে। প্রতিদিনই শত শত নতুন রোগী হাসপাতালে আসছে। জায়গার সংকুলান হচ্ছে না। ইতালিজুড়ে মঙ্গলবার ৯ হাজার ১৭২ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এর মধ্যে এই লম্বার্ডি এলাকায় ১২৫৪। এর মধ্যে বেশকিছু ডাক্তার ও নার্সও আক্রান্ত হয়েছেন এবং মোট আক্রান্তে প্রায় ১০ শতাংশ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভাইরাস সংক্রমণ চীনের পরে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ইতালিতে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেখানে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ব্যাপক প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও চিকিৎসা প্রস্তুতি সত্তে¡ও মৃতের সংখ্যা মঙ্গলবার পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬৩। ফলে পুরো ইতালিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে পুরো দেশে। সারা দেশে ফুটবল ম্যাচসহ সব খেলাধুলাবিষয়ক ইভেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।
৩ এপ্রিল পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। জনসাধারণকে ঘরের ভেতর অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন। অত্যাবশ্যকীয় কোনো সফরের প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে বলা হয়েছে।
এর আগে করোনা সংক্রমণের কারণে দেশেটির ল্যাবারডি ও ১৪টি এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। তা এখন পুরো দেশের জন্য প্রযোজ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
এক টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী কোন্টে বলেছেন, ভয়াবহভাবে বিপন্ন যারা, তাদের রক্ষার জন্য এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তাদের রক্ষার জন্য হাতে আর বেশি সময় নেই। সরকারি তথ্যমতে, রোববারের তুলনায় ইতালিতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ২৪ ভাগ। ইতালিতে রয়েছে মোট ২০টি অঞ্চল। এর প্রতিটিতেই ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।