Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সন্তানের বৈধতা নিরূপণ সংক্রান্ত ধারা চ্যালেঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারা কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ধারাটি ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তান বৈধ না অবৈধ-তা নিরূপণে সাক্ষ্য প্রদান সংক্রান্ত। গতকাল সোমবার বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে আইনমন্ত্রণালয়ের সচিব, একই মন্ত্রণালয়ের ড্রাফটিং ও লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্ট বারের অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
ইশরাত হাসান জানান, সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে সোমবার জনস্বার্থে রিট করা হয়। রিটে বলা হয়, সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারায় উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তির মাতার সঙ্গে এক ব্যক্তির আইনসিদ্ধ বিবাহ চালু থাকাকালে অথবা বিবাহ বিচ্ছেদের পর ২৮০ দিনের মধ্যে তার মাতা অবিবাহিত থাকাকালে যদি তার জন্ম হয়ে থাকে এবং যদি প্রতীয়মান না হয় যে, ওই ব্যক্তি যখন মাতৃগর্ভে এসে থাকতে পারে অনুরূপ কোনো সময়ে বিবাহিত পক্ষদ্বয়ের পরস্পরের মধ্যে শারীরীক সম্পর্কের পথ উন্মুক্ত ছিল না, তবে জন্মের বিষয় দ্বারা অবশ্যই চূড়ান্ত ভাবে প্রমাণিত হবে যে সে তার মাতার সঙ্গে বিবাহিত উক্ত ব্যক্তির সন্তান।’ রিটে বলা হয়, সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব পরীক্ষা হতেই পারে। কিন্তু বৈধতা বা অবৈধ ঘোষণা দেয়ার ব্যাপারটি একেবারেই অবান্তর। এর মাধ্যমে বৈধ ও অবৈধ সন্তানের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়। কোনো সন্তান যদি আদালতের মাধ্যমে বৈধ প্রমাণিত না হয় তবে তাকে সারাজীবন অবৈধ সন্তানের উপাধি নিয়ে নিগৃহীত হতে হবে। সমাজের কাছে ছোট হতে হবে, যা একেবারেই কাম্য নয়। ধর্ষণের ফলে সন্তান জন্মগ্রহণ করতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এরকম অসংখ্য ঘটনার নজির রয়েছে। এ ছাড়া বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তের জন্য একটি নিষ্পাপ শিশুকে অপমান করা যেতে পারে না।
ইশরাত হাসান বলেন, ১৮৭২ সালের পুরাতন আইন, যা ব্রিটিশ আমলে করা হয়েছে। আইনটি বর্তমান যুগের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত। যেখানে বর্তমানে ডিএনএ টেস্টের সুযোগ রয়েছে। এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটি অদ্ভুত ও বৈষম্যমূলক। এ ছাড়া ইউনিভার্সেল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটসের পরিপন্থী। এ কারণেই আমরা রিট করেছি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চ্যালেঞ্জ

২৪ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ