পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে এমনিতেই নাজেহাল মানুষ। প্রতি সপ্তাহেই বেড়ে চলেছে চাল,ডাল, তেল, সাবান, মাছ, সবজিসহ কোন না কোন পণ্যের দাম। যার সাথে খাপ খাওয়াতে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। বাড়তি দামের সাথে সামঞ্জস্য করতে কাটছাট চলছে নানা প্রয়োজনীয় উপকরণে। এরসাথে আবার যুক্ত হয়েছে শিক্ষা উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি। বাধাই করা খাতা, দিস্তা কাগজ, কলম, পেন্সিল, রং পেন্সিল, স্কেল, জ্যামিতি বক্স, সাইন্সিফিক ক্যালকুলেটর, বইসহ হেন কোন শিক্ষা উপকরণ নেই যেটির দাম বাড়েনি। রাজধানীর বাড্ডা, গুলশান, নীলক্ষেত, সেগুনবাগিচা, বাংলাবাজার ও খুলনা, পটুয়াখালী, বগুড়া, মুন্সীগঞ্জ, পঞ্চগড়ের বিভিন্ন উপজেলার দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে জড়িত বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। কোন কোনটি আবার দ্বিগুণও ছাড়িয়ে গেছে। এমন অবস্থায় সন্তানদের পড়াশুনা চালিয়ে নিতে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো খাবার-দাবার কিংবা অন্যান্য খরচ থেকে কাটছাট করে কোন মতে সন্তানের পড়াশুনার খরচ যোগাচ্ছেন। আর নিম্নবিত্তদের কারো কারো সন্তানের পড়াশুনা বন্ধ হওয়ার উপক্রমই হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বই-খাতার পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি শিক্ষা-উপকরণের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। মানভেদে খাতার দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা। কলমের দাম বেড়েছে ডজনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা। মার্কিং করার ছোট কালার পেনের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আগে যে প্রাকটিক্যাল খাতা ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ছিল, এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। স্টিলের স্কেল ১০ টাকা ও প্লাস্টিকের স্কেলের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। জ্যামিতি বক্সের দামও বেড়েছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। বাজারে ফটোকপির চার্জও বেড়েছে। আগে এক পৃষ্ঠা ফটোকপি করতে খরচ হতো দেড় থেকে দুই টাকা। এখন খরচ হয় আড়াই থেকে তিন টাকা। পাড়া-মহল্লায় ফটোকপির চার্জ আরও বেশি। প্রতিটি প্লাস্টিক ফাইলের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি ডজন পেনসিল ও রাবার ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে অভিভাবকদের।
রাজধানীর একটি স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারহানা বলেন, আমাদের প্রতিমাসেই ম্যাথ করতে অন্তত ২টা খাতা লাগে। যে খাতাটা আগে ৩০ টাকায় পেতাম এখন তা কিনতে লাগে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। বইপুস্তকের দাম তো বাড়ছেই। শুধু কলমের মূল্যটাই আগের মতো আছে। বাকি সবকিছুরই দাম বেড়েছে। এদিকে বাবার সামান্য রোজগারে নিজেদের সংসারই চলে না। তার উপর আমার পড়াশোনার খরচ চালাতে হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নিয়ামুর রহমান বলেন, মাস শেষে টিউশনি করে যে টাকাটা পাই তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকি। পরিবারের অবস্থাও নাজুক, তাদেরকে না পারতেছি কিছু দিতে আর না পারতেছি কিছু নিতে। তাই এমনিতেই বই-পুস্তক তেমন একটা কেনা হয় না। এদিকে শিক্ষা সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তা তো আরো বেশি সঙ্কুচিত হবে।
নাম প্রকাশ না করে মিরপুরের একজন অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ওর অনেক খাতার দরকার হয়। আগে বিভিন্ন কোম্পানির বাইন্ডিং খাতা কিনে দিতাম। দাম বাড়ার কারণে খাতা কেনা কমিয়ে দিয়েছি। এখন দিস্তা খাতাই বেশি কিনে দিচ্ছি। শুধু খাতাই নয়, প্রতিটি শিক্ষা-উপকরণেরই দাম বেড়েছে। সন্তানের লেখাপড়ার খরচ জোগাতেই এখন হিমশিম খাচ্ছি।
শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি শিক্ষার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সালাম বলেন, শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া মানে অবশ্যই শিক্ষার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং অলরেডি পড়ছেও। কারণ বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে এবারের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আগের চেয়ে অনেক শিক্ষার্থীই কমে গেছে। করোনায় অনেক শিক্ষার্থীই ঝড়ে পড়েছে। আর শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়া, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটা বিষয়। এর ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর একটা মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সরকারের উচিত শিক্ষার মত এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রণোদনা দিয়ে এই সমস্যা লাঘব করা।
তিনি বলেন, করোনার সময় অনেক বাবা-মা চাকরি হারিয়েছে, অনেক শিক্ষক চাকরি হারিয়েছে, অনেক শিক্ষার্থীই ঝড়ে পড়েছে কিন্তু সরকার কোনোরকম প্রণোদনার ব্যবস্থা করেনি। এছাড়াও আগামী বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কথাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষা খাতে মানুষের ব্যয়ও আগের তুলনায় বেড়ে যাবে। ফলে নিম্ন আয়ের পরিবার তাদের সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয়ভার বহনে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে।
পদ্মাসেতু উত্তর সংবাদদাতা জানান, গত দুই মাস আগে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন দোকানে এফোর ৮০গ্রাম কাগজের দাম ছিল ২৮০টাকা, এখন সেটি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লিগ্যাল কাগজের দাম ছিল ৪৮৫ টাকা, সেটি এখন ৫০০টাকা, রিম কাগজ ২৩-৩৬ সাইজের দাম ৩৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫০টাকা, ৫৫ গ্রাম কাগজ ২৩-৩৬ সাইজের দাম ৩৬০ টাকা থেকে এখন ৬০০টাকা। ৩০০ পেইজের খাতা ১১০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, বসুন্ধরা ৩০০ পেইজের খাতা ১১৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, ২০ টাকার খাতা ৩০ টাকা, ৪০ টাকার খাতা ৬০ টাকা, প্রতি ডজন কলমের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা করে বেড়েছে।
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বই ঘর লাইব্রেরির প্রোপ্রাইটার জসিম রহমান জানান, শিক্ষা উপকরনের দাম হুট করে এভাবে বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপকরণ কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এভাবে বাড়তে থাকলে আগামী বছরের শুরুতে তা শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যেতে পারে।
শিক্ষা উপকরন ক্রয় করতে আসা ষোলঘর একেএসকে উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর মা খাজিদা আক্তার মৌসুমী জানান, আমার স্বামী ছোট খাটো একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। আমার তিন মেয়ের বড় মেয়ে পড়ে ৭ম শ্রেনীতে, দ্বিতীয় মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেনীতে। আমার স্বামীর যা বেতন তাতে আমাদের সংসারই ঠিক মত চলে না। যদি খাতা কলমের দাম এভাবে বাড়ে তাহলে কিভাবে ক্রয় করবো। গত দুই আগে যে খাতা কিনছি ২০টাকা করে সে টাকা বর্তমানে কিনতে হয় ৩০টাকা দিয়ে। এভাবে খাতা কাগজের মূল্যবৃদ্ধি পেলে সন্তানদের লেখাপড়া করানো সম্ভব হবে না।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মাধ্যম খাতা কলমের দাম বৃদ্ধিতে অভিভাবকদের এখন দিশেহারা অবস্থা। অভিভাবকরা সামর্থের শেষ বিন্দু মেটাতে পারছেনা শিক্ষার্থী ছেলে মেয়েদের চাহিদা। দুঃসহ পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে চাকরীজীবী গৃহবধূ দোলা রায়হান জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী দু›জনেই চাকরীজীবী হওয়ায় একমাত্র ছেলেকে নামজাদা স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। খাতা-কলম স্কুল থেকেই নিতে হয়। তারপরও মাঝে অতিরিক্ত চাহিদার জন্য মাঝে মাঝে স্টেশনারী দোকানে যেতে হয়। চলতি নভেম্বর মাসে খাতা কলম কিনতে গিয়ে তিনি হতভম্ব হয়ে গেছেন। ১২ টাকা দিস্তার কাগজ ২০ টাকা, ১৬ টাকারটা ৩০ টাকায় উঠেছে। তিনি এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে দোকানি বলেছেন, আমরা কি করবো কাগজের দাম বাড়ছে ছয় মাস ধরে। চলতি নভেম্বরে বেড়েছে দুই দফা। এভাবে চলবে ব্যবসা গুটনো ছাড়া উপায় থাকবেনা। দোলা রায়হান আরো জানান, যাদের দুই চারজন ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে তাদের যে কি অবস্থা ভাবতেও মাথা ঘুরে যাওয়ার অবস্থা !
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার স্টেশনারি মার্কেটে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। কাগজ সংকটের অজুহাতে খুচরা ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত খাতাপত্রের দাম বাড়িয়েছে।
খুলনা ব্যুরো জানায়, এক মাস আগে এক দিস্তার বাঁধাই খাতা ছিল ৩৫ টাকা, এখন সেটি ৫০ টাকা। দেড় দিস্তার বাঁধাই খাতা ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, এখন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। দুই দিস্তার বাঁধাই খাতা ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, এখন ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। তিন দিস্তার বাঁধাই খাতা ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, এখন ১১৫ টাকা। আর বসুন্ধরা, গুডলাকসহ বিভিন্ন কোম্পানির ৩০০ পাতার বাঁধাই খাতা ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। এখন ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। সাধারন মানের সাদা কাগজের দিস্তা ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। রাবার/ইরেজার ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। এখন ২৫ টাকা। সাধারণ পেনসিল ডজন ছিল ৮০ টাকা, এখন ১০০ টাকা। রং পেনসিল অয়েল পেস্টাল ১২ টি পেনসিলের একটি প্যাকেট ছিল ১০০ টাকা। এখন ১১০ টাকা। ৫৫ গ্রামের এক রিম কাগজের এক মাস আগে পাইকারি দাম ছিল ১ হাজার ৮৩০ থেকে ১৮৫০ টাকা, এখন ২ হাজার ৩০০ টাকা।
এ বিষয়ে খুলনার খানাবাড়ি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ডালিয়া আক্তার মীরা বলেন, কাগজসহ শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। বিভিন্ন শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষা এ মাসের শেষে। এ সময়টাতে শিক্ষার্থীরা কাগজ বেশি ব্যবহার করে। কিন্তু শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র পরিবারগুলোর অভিভাবকেরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন।
খুলনা নগরীর খানজাহান আলী রোডের বাসিন্দা ও পল্লী মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আমিরুল ইসলাম জানান, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনে চাকরী করেন। বর্তমান উর্ধ্বমূল্যের বাজারে ৫ সদস্যের পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। দুটি সন্তান স্কুলে পড়ে। স্কুল খরচ, প্রাইভেট টিচার খরচ দেয়ার পর মাস শেষে অন্যের কাছে হাত পাততে হয়। এখন খাতা, পেনসিলসহ সব শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। সন্তানদের শিক্ষার ভবিষ্যত নিয়ে তিনি খুবই চিন্তিত।
পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা জানান, প্রতিদিনের সংসার খরচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিক্ষাব্যয়। সব জিনিসের মতো বই-খাতাসহ পড়ালেখার মৌলিক উপকরণের দাম বেড়েই চলেছে। কোচিং ও প্রাইভেট ফি। অথচ আয় বাড়েনি। তবে তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষকে কেন্দ্র করে। কারণ নতুন বছর মানেই সন্তানকে ক্লাসে ভর্তি, নতুন বই, স্কুল পোশাকসহ আরও কত খরচ। সব মিলিয়ে অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সন্তানের শিক্ষা ভবিষ্যৎ নিয়ে। মঙ্গলবার সরেজমিন পঞ্চগড়ের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক মাসের ব্যবধানে শিক্ষা উপকরণে সব চাইতে দাম বেড়েছে কাগজ খাতা ও ডিমাই কাগজের ১২৪ পাতার ১ ডজন খাতার দাম আগে ছিল ৩০০ টাকা, বেড়ে ৪৮০ টাকা, ডিমাই কাগজ ১ রিম ছিল ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০০ টাকা, ৫ টাকা দামের ১ ডজন কলম ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, কাঠ পেন্সিল ১ ডজন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, জ্যামিতি বক্স ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা, রং পেন্সিল ৭০ থেকে হয়েছে ১০০ টাকা, ইরেজার ৬ টাকা থেকে বেড়ে ১০ টাকা, সার্পনার ৬ টাকা থেকে দাম বেড়ে ১০ টাকা, স্কেল ৮ টাকা দাম বেড়ে ১৫ টাকা, পরীক্ষার ক্লীপ বোর্ড টু পার্টের ৮৫ টাকা থেকে দাম বেড়ে ১২৫ টাকা, পেন বক্স কোয়ালিটি অনুযায়ী প্রতি পিছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। গ্রাফ পেপার এ ফোর সাইজের ১০০ পিছ ৮০ টাকা, দাম বেড়ে ১৩০ টাকা।
ডোকরো পাড়া এলাকার আলম জানান, কয়েকদিন পর পর কাগজ খাতাসহ সব রকমের শিক্ষা উপকরনের দাম বেড়েই চলছে। শুধু তাই নয় টিউশন ফি, ভর্তি ফি অবশ্যই বাড়বে। কারণ সব কিছুরই দাম বেড়েছে কিন্ত বাড়েনি আয় এখন তিনি তিন সন্তানের পাড়া লেখার খরচ নিয়ে চিন্তিত।
পটুয়াখালীর কলাপড়া সংবাদদাতা জানান, শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি কারণে সেখানকার অভিবাবকদের হাপিত্যাশ অবস্থা। আবুল হোসেন নামে এক অভিভাবক বলেন, তার এক ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী আর মেয়ে প্রাথমিকে পড়ছে। তিনি টিউশনী করে সংসার চালান। সার্বিক আর্থিক সঙ্কটের কারণে সকলেই সমস্যায় পড়ছেন, এজন্য টিউশনির বেতন ঠিকমত পান না। আবার দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি। তাই আগে তিন দিনের বাজারে যে টাকা খরচ করতেন সেটি দিয়ে পাঁচ দিন চলেন। এভাবে খরচ কমিয়ে সন্তানদের পড়াশুনা চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। কতদিন পারবেন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কলাপাড়ার ইসলামীয়া লাইব্রেরির সত্ত্বাধিকারী মো. ফোরকানুল ইসলাম বলেন, কাগজ, কলম, পেন্সিল, স্কেলসহ সব কিছুর দাম বেড়েছে। আগে বসুন্ধরার যে খাতা ৩৫টাকায় বিক্রি হতো এখন সেটি ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দিস্তা খাতা ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। রংপেন্সিল ৩০-৩৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। তিনি বলেন, শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরাও আগের তুলনায় অর্ধেক কিনছেন। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।