নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ডানহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বাঁহাতি বোলারের ম্যাচ-আপ এখন ক্রিকেট বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত কৌশল। এর বড় ‘শিকার’ অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। বাঁহাতি বোলারদের বিপক্ষে তার পরিসংখ্যান খুব একটা ভালো নয়। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট যেন ফিঞ্চের যম! আজ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচে ফিঞ্চের জন্য বোল্টকে প্রস্তুত রাখার কথা বলেছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ফিঞ্চও জানিয়েছেন, চ্যালেঞ্জ সামলাতে প্রস্তুত তিনি।
অবশ্য শুধু ফিঞ্চ-বোল্ট দ্বৈরথের দিকেই তাকিয়ে নেই নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক। এ দুজনের মুখোমুখি লড়াই উত্তেজনা ছড়ালেও ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের সার্বিক পরিকল্পনায় অটল থাকার কথা বলেছেন উইলিয়ামসন, ‘ট্রেন্ট নতুন বলে বোলিং করবে। আমার ধারণা ফিঞ্চ ওপেনিংয়ে নামবে। তাই তাদের দুজনের মুখোমুখি হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। টুর্নামেন্ট জুড়েই এমন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। যে কেউ যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। এটি জমজমাট একটি ইভেন্টের জন্য পথ সুগম করে দেয়। আমাদের জন্যও বিষয়টি অন্য কিছু নয়। আমরা সম্ভাব্য সেরা হোমওয়ার্ক করার চেষ্টায় আছি। তবে দিন শেষে দল হিসেবে নিজেদের পরিকল্পনায় অটল থেকে মাঠে স্বাধীনভাবে খেলতে চাই। যা এসব ইভেন্টে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অনেক ম্যাচ উইনার আছে। ফিঞ্চ অবশ্যই তাদের মধ্যে একজন, যেমনটা ট্রেন্টও।’
কিউই অধিনায়কের পরপরই সংবাদ সম্মেলন করেন ফিঞ্চ। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই আসে বোল্টের প্রসঙ্গ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ছয়বার বোল্টের শিকার অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। বিশেষ করে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ও গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ফিঞ্চকে সাজঘরে পাঠান বোল্ট।
২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বোল্টের বলে এলবিডব্লিউ হন ফিঞ্চ। আইসিসি ইভেন্ট মানেই যেন বোল্টের সামনে অসহায় তিনি। আরও একবার অভিজ্ঞ কিউই বোলারের মুখোমুখি হওয়ার আগে চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে সতর্ক ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান, ‘আমি অবাকই হব যদি সে (বোল্ট) আমার অপেক্ষায় না থাকে! হ্যাঁ! কিছুটা (বাঁহাতি বোলারের জন্য কাজ করেছি)। এ বিষয়ে আমাদের খুব একটা দখল নেই। সাপোর্ট স্টাফে বাম হাতে থ্রো ও স্টিক করার মতো মানুষ আছে। তবে এখানে মূল কাজ হলো বারবার এটি করে যাওয়া।’
বারবার বোল্টের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করা ফিঞ্চ এবার তাকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মোকাবিলা করার বার্তা দিয়েছেন। এখন আর বাঁহাতি বোলারের বিপক্ষে আগে থেকেই নেতিবাচক মানসিকতায় ঢুকে যেতে রাজি নন এই ওপেনার, ‘ট্রেন্ট অবিশ্বাস্য বোলার। সে ১০-১২ বছর ধরে খেলছে। যে কেউ যখন ইনিংস শুরু করবে, তখন কারও না কারও বলে আউট হবেই। সে হয়তো আমাকে বেশিরভাগ সময় আউট করেছে। তবে আমার যথাযথ পরিকল্পনা রয়েছে। আমার মনে হয়, এখানে কিছু টেকনিক্যাল দিক রয়েছে, যা আমি বাঁহাতি পেসারের বিপক্ষে করতে পারি। কখনও কখনও হয়তো বাঁহাতি বোলারের বিপক্ষে আমি নেতিবাচক মানসিকতায় ঢুকে যাই। এমন অবস্থায় ব্যাটসম্যান স্রেফ আউট না হওয়ার জন্য ব্যাটিং করে। যা বোলারকে আরও তাঁতিয়ে দেয়। তাই আগামীকাল (আজ) সবকিছু মাথায় রেখেই খেলতে নামব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।