নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একসময় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য হাপিত্যেশ করতে হতো বাংলাদেশকে। এখন আর সেই দিন নেই। সামনে তো আসছে ব্যস্ততায় ঠাসা সময়। গতপরশু আইসিসি ঘোষণা করে ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত ভবিষ্যৎ সফর সূচি (এফটিপি)। বাংলাদেশ এই সময়ে খেলবে ৩৪ টেস্ট, ৫৯ ওয়ানডে ও ৫৭ টি-টোয়েন্টি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের দেড়শ আন্তর্জাতিক ম্যাচের সমান ম্যাচ নেই আর কোনো দেশেরই। ক্রিকেট কূটনীতির লড়াইয়ে জিতে তৃপ্তির হাসি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মুখে। তবে তার মনে শঙ্কার ছায়াও। এত ম্যাচে সামলাতে তো হবে!
২০২৩ সালের মে মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া পরের চক্রে বাংলাদেশের টেস্ট আছে ৩৪টি। ওয়ানডে ৫৯ ও টি-টোয়েন্টি পেয়েছে ৫৭টি। চলমান চক্রে এরমধ্যে ৩১ টেস্ট খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ, বাকি আছে আরও তিনটি। বছর হিসাব করলে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ খেলবে ৪ টেস্ট, ১২ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি ২০২৪ সালে আছে ১৪ টেস্ট, ৯ ওয়ানডে ও ১৭ টি-টোয়েন্টি। ২০২৫ সালে ৪ টেস্ট ১৮টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।
২০২৬ সালে ৮ টেস্ট, ২০ ওয়ানডে ও ১২ টি-টোয়েন্টি। ২০২৭ সালে এখন পর্যন্ত ৪ টেস্টের পরিকল্পনা হয়েছে। নিশ্চিতভাবেই যোগ হবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। ২০২৩ সালে ২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেও ২০২৪ থেকে ২০২৬ প্রতি বছরই এফটিপিতে ৪০টি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। ২০০৩ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে অস্ট্রেলিয়ায়, ২০২৭ সালে। এর বাইরেও বৈশ্বিক আসরগুলো আছে। এফটিপির বাইরেও খেলা আয়োজনের পরিকল্পনা আছে। সব মিলিয়ে ঠাসা একটু সূচির সামনে বাংলাদেশের ক্রিকেট পড়তে যাচ্ছে নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখে। গতকাল বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সভাপতি নাজমুল বললেন, বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশক নিয়ে বদলে যাওয়া দৃষ্টিভঙ্গিরই ছাপ পড়েছে এবারের ভবিষ্যৎ সফর সূচিতে, ‘ক্রিকেটার শুধু নয়, কোচিং স্টাফদের কথা চিন্তা করুন, কেউ নিঃশ্বাস ফেলার সময় পাবে না। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ এখন আমাদের। এখনকার এফটিপি অবিশ্বাস্য। আমরা সৌভাগ্যবান। যে পরিমাণ খেলা পেলাম, এতে অনেকগুলো ব্যাপার ফুটে ওঠে। আইসিসি বলেন বা অন্য দেশগুলো, তারা বাংলাদেশকে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের সঙ্গে খেলতে চাচ্ছে।’
ভবিষ্যৎ সফর সূচির এই ম্যাচগুলি হিসাব করা হয়েছে আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টগুলো ছাড়াই। ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইসিসি টুর্নামেন্ট আছে প্রতি বছরই। এছাড়াও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি জানান, এর বাইরেও খেলা আয়োজনের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে তাই এত বেশি খেলার চ্যালেঞ্জের দিকটি নিয়েও বোর্ড ভাবতে শুরু করেছে, বললেন বিসিবি সভাপতি, ‘এফটিপির বাইরেও খেলা আছে। আলাপ-আলোচনা চলছে আরও খেলার। আইসিসি, এসিসি ইভেন্ট তো আছেই। অবিশ্বাস্য ব্যাপার। অনেক বড় চ্যালেঞ্জ এটি। আমাদের জন্য গর্বের ব্যাপার যে এত খেলা পেয়েছি, কিন্তু এটাকে ম্যানেজ করা, সামলানো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এটা নিয়ে বোর্ডের সবার সঙ্গে আলোচনা বসেছিলাম।’
চ্যালেঞ্জও দেখছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস, ‘অবশ্যই এফটিপিতে আমাদের জন্য বেশি ম্যাচ থাকা ইতিবাচক দিক কিন্তু একই সঙ্গে এটা বিশাল চ্যালেঞ্জেরও। অনেকেই বলছেন সংখ্যাটা অনেক বেশি। কিন্তু সামনের এই ঠাসা সূচি সামলাতে আমাদের প্রচুর ক্রিকেটারও দরকার। সব সংস্করণেই যেহেতু আমাদের অনেক ম্যাচ। আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে নির্দিষ্ট সংস্করণের জন্য খেলোয়াড় তৈরি করা।’
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতেই বাংলাদেশের ভোগান্তি বেশি। অপারেশন্স চেয়ারম্যান জানান সেই দিকটা চিহ্নিত করেই পরিকল্পনায় আছেন তারা, ‘আমাদের ভালো ভালো টেস্ট ইউনিট বানাতে হবে। টি-টোয়েন্টিতে উন্নতি করতে হবে। বাংলাদেশ টাইগার্সে আমরা খেলোয়াড়দের স্কিল বাড়াচ্ছি। এটা সারাবছর ধরে চলমান থাকবে।’ বেশি ম্যাচ মানে ইনজুরির শঙ্কাও বেশি। সেই দিকটা মাথায় রেখে ইনজুরি ম্যানেজমেন্টের জন্য আলাদা ইউনিট করবে বিসিবি, ‘জাতীয় দলের জন্য আমাদের ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট ইউনিট করার পরিকল্পনা আছে। যদি ঠাসা সূচি থাকা তখন চোটও বেশি হতে পারে। দেশের বাইরে থেকে স্পেশালিষ্ট ফিজিও আনব, যিনি সারা বছর ধরে দলের সঙ্গে কাজ করবেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।