পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোরের কেশবপুর আসনের উপ নির্বাচনে গতকাল আ.লীগ ও বিএনপি ব্যাপক শো-ডাউন করেছে। নির্বাচনী হাওয়া গোটা এলাকার মানুষের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে। কেশবপুর শহরের মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে এমনকি প্রত্যেক ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রামের চারিদিকে এখন একটিই আলোচনা, সে হচ্ছে সংসদীয় আসনটির ২৯মার্চের উপ নির্বাচন। ঘরের কোণ পর্যন্ত নির্বাচনী আলোচনা জমজমাট হয়ে উঠেছে। তবে নির্বাচন কী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে? সাধারণ ভোটাররা কী নির্বিঘেœ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন?-এমন নানা প্রশ্নও নির্বাচনী মাঠে ঘুরপাক খাচ্ছে।
অবশ্য ক্ষমতাসীন আ.লীগের দলীয় প্রার্থীসভা-সমাবেশে পরিস্কার ভাষায় বলেছেন, কেশবপুরের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ, দলে দলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকার পক্ষে রায় দেবেন। তিনি প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন, করছেন সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ। এর বিপরীতে বিএনপি’র প্রার্থীআবুল হোসেন আজাদও বসে নেই। তিনিও গণসংযোগ করছেন। বলছেন নির্বাচনী পরিবেশ এখনও পর্যন্ত ভালো। মানুষ নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে এবং ধানের শীষের পক্ষে রায় দেবেন বলে আশা রাখি।
গতকাল দুপুরে আ.লীগ প্রার্থী যশোর জেলা আ.লীগের সেক্রেটারি কেশবপুর দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী শো-ডাউন করেন। তিনি উপজেলা স্বোচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আ. গফ্ফারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমিন, সাধারন সম্পাদক গাজি গোলাম মোস্তফা। যশোর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি খয়রাত হোসেন ও আ.লীগ নেতা মাহমুদ হাসান বিপুসহ নেতা ও কর্মীরা নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন সার্বক্ষণিক। বিকালে কেশবপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে কৃষক লীগের কর্মীসমাবেশ হয়, এটিও নির্বাচনী সভা হিসেবেই গণ্য হয়। সভায় কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ নাহিদ হাসান সভাপতিত্ব করেন। বিশাল এই সমাবেশেও আ.লীগ প্রার্থীশাহীন চাকলাদার প্রধান অতিথি ছিলেন।
অন্যদিকে, একইদিন সকালে কেশবপুর দলীয় কার্যালয়ে কর্মীসমাবেশ করে নির্বাচনী শো-ডাউন করেছেন বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ। তার সভাপতিত্বে বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের পুত্র অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্তকুমার কুন্ডু ও অমেলেন্দু দাস অপু।
নির্বাচনকে ঘিরে কেশবপুরে সভা-সমাবেশ চলছে সমানে। সাধারণ ভোটারদের কদর বাড়ছে। দুই প্রার্থীর লোকজন ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। আজ (সোমবার) নির্বাচন কমিশন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতীক বরাদ্দের পর নৌকা ও ধানের শীষ নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা আরো জোরদার হবে। যার আগাম প্রস্ততি চলছে। দুই পক্ষই যোগাড় করছে নির্বাচনী প্রচার কর্মী। ভবদহ ও কপোতাক্ষের কারণে পানিবদ্ধতায় উপজেলাটি দীর্ঘদিন ধরে কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে এখনো ৪টি ইউনিয়ন এলাকার মাঠে পানিবদ্ধতায় চলতি বোরো আবাদ করতে পারেননি কৃষকরা। তাছাড়া সামগ্রিক উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। অবহেলিত কেশবপুরের মানুষ সেজন্য উপ নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রচন্ড আগ্রহও সৃষ্টি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।